শাহরিয়ার হাসিব, শিশু বার্তা, প্রতিনিধি বগুড়া:
বগুড়া সদর উপজেলার নিশিন্দারা ইউনিয়নের বারপুর সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। গতকাল
শনিবার সকালে ওই শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নাদিয়া সুলতানা মারধর করেন
বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীকে বগুড়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মোহাম্মদ
আলী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থীর নাম নাবিদ হাসান ওরফে
নাঈম (৮)। তার বাবার নাম অনিক রহমান ওরফে বিপুল। তাঁদের বাড়ি সদরের বারপুর পাঁচবাড়িয়া
গ্রামে।
শিক্ষার্থীর বাবা বিপুল জানান, গতকাল তাঁর ছেলে নাঈম
বারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। গতকাল সকালে সে বিদ্যালয়ে
যায়। বিদ্যালয় থেকে দুপুরবেলা বাড়িতে ফেরে নাঈম। পরে নাঈমকে তার মা গোসল করাতে নিয়ে
যায়। গোসল করানোর সময় তার উরুতে নির্যাতনের ছয়টি চিহ্ন দেখতে পান। মারধরের কারণে নাঈমের
উরু এবং পায়ে কালো দাগ পড়ে গেছে।
নির্যাতনের চিহ্ন সম্পর্কে জানতে চাইলে নাঈম জানায়, গতকাল
বিদ্যালয়ে ইংরেজি পড়া না পাড়ার কারণে সহকারি শিক্ষক নাদিয়া সুলতানা তাকে এভাবে মারধর
করেছেন। পরে এই ঘটনা সম্পর্কে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জানান নাঈমের বাবা বিপুল
(৩০)। আজ রবিবার বিকেলে নাঈমকে বগুড়ার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসা
দেওয়া হয়েছে।
নির্যাতনের ব্যাপারে জানতে চাইলে বারপুর সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাম্মিন আখতার এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, নাবিদের বাবার
অভিযোগের পর তিনি বিষয়টি শুনেছেন। এরপর তিনি সহকারি শিক্ষক নাদিয়া সুলতানার সঙ্গে কথা
বলেছেন। নাদিয়া মারধরের কথা স্বীকার করেছেন। তবে বেশি মারেননি বলে দাবি করেছেন। অভিযোগের
বিষয়ে আগামীকাল সোমবার নাবিদের বাবাকে বিদ্যালয়ে ডাকা হয়েছে। ওই শিক্ষকের উপস্থিতিতে
বিষয়টি শুনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওই শিক্ষক নাদিয়া সুলতানা
জানান, ‘এই বিষয়ে এখন আমি আপনার সঙ্গে কথা বলব না। পরে কথা বলব।’
0 মন্তব্যসমূহ