আজমির তরু, শিশু
বার্তা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহঃ
অপরাধমুক্ত
শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে নামাজের বিকল্প নেই। নামাজে অভ্যস্ত মানুষের মাঝে অশান্তি ও
অপরাধ প্রবণতা অন্যদের তুলনা কম। তাই সবারই উচিত নামাজে অভ্যস্ত হওয়া। এ রকম একটি
সুন্দর নামাজের প্রশিক্ষণ চালু আছে নলভাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। যেখানে
ছাত্র-শিক্ষক সবাই স্কুলের মাঠেই আদায় করে থাকেন নামাজ।
স্কুলে
পড়া-লেখার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নামাজে অভ্যস্ত করে তুলতে একটি ভলো উদ্যোগ গ্রহণ
করেছে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার নলভাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
তারা প্রতিদিনই স্কুলের মাঠে ছাত্রদের নিয়ে জামাআতে জোহরের নামাজ আদায় করেন।
নিঃসন্দেহে এটি শিক্ষক কর্তৃপক্ষে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
নামাজ পড়ার বিষয়ে শিক্ষকরা বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হাতে-কলমে নামাজ শিক্ষার বিষয়টি নিয়মিত
চর্চা হয়। তবে নামাজ পড়ার বিষয়টি শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়।
বিদ্যালয়ের ধর্ম
শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক জানান, নামাজের জন্য কোনো শিশুকে জোর করা হয় না। যারা স্বেচ্ছায় নামাজ শিখতে চায়,
তাদের নিয়েই জামাআতে নামাজ আদায় করা হয়। এ ছাড়া ক্লাসের আলোচনায়
শিশুদের নৈতিক শিক্ষাও দেয়া হয়।
স্কুলের প্রধান
শিক্ষক মাহফুজুর রহমান জানান,‘গত তিন বছর ধরে নামাজের প্রশিক্ষণের বিষয়টি চালু করা হয়। তবে মাঝে বেশকিছু
দিন বন্ধ থাকার পর চলতি মাস থেকে আবার জামা’আতে নামাজ আদায় চালু হয়েছে। তিনি আরও
বলেন, তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইসলাম শিক্ষার
পাঠ্যসূচিতে নামাজ শিক্ষা নামে একটি অধ্যায় আছে। এই অধ্যায়টি পড়ানোর সময় মনে
হচ্ছিল যে, বাচ্চাদের এ অধ্যায়টি পাঠদানের পাশাপাশি নামাজ
কীভাবে পড়তে হয় তা বাস্তবে শেখাতে পারলে আরো ভালো হয়। এ চিন্তা থেকেই শিক্ষকরা
শিশুদের নিয়ে জোহরের নামাজ আদায় করেন।
শিক্ষার্থীদের
ওজুসহ নামাজ আদায়ের নিয়মও শেখান। স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও
শিক্ষা কর্মকর্তাদের মতে, স্কুলে জামাআতে নামাজ আদায়,
নামাজের নিয়ম-কানুন শেখানোসহ একটি মহৎ উদ্যোগ। দেশের প্রতিটি স্কুলে
এ উদ্যোগ গ্রহণ করলে শিশু শিক্ষার্থীরা নামাজে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। কমে আসবে অশান্তি
ও অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে।
0 মন্তব্যসমূহ