সানজিদুল ইসলাম, শিশু বার্তা প্রতিনিধি ,ভোলাঃ
ভোলা জেলার মনপুরার
২নং হাজিরহাট ইউনিয়নে "শিশুবিবাহকে না বলি" শীর্ষক উন্মুক্ত ঘোষণা অনুষ্ঠিত। এসময়
ইউনিয়নের কাজী, মসজিদের ইমাম ও ২০০ জন অভিভাবককে শিশুবিবাহ প্রতিরোধ ও সন্তানের
উজ্জল ভবিষ্যৎ গড়তে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়। শিশু
বিবাহ প্রতিরোধে কিশোর কিশোরীদের কার্যক্রমে যোগ হলো নতুন মাত্রা।
এসময় প্রশাসনিক
কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিত ছিলেন।
জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ বিশ্বব্যাপি শিশুদের অধিকার
বাস্তবায়নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দলিল। বিশ্বের যেসব দেশ সর্বাগ্রে এ সনদে স্বাক্ষর
ও অনুমোদন করেছে তাদের মধ্যে তাদের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। এ সনদে ১৮ বছরের নিচে সকল
মানব সন্তানকে শিশু হিসেবে গন্য করা হয় এবং শিশুবিবাহকে শিশু অধিকার লঙ্গন হিসেবে
চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু শিশুবিবাহ আমাদের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে আছে।
দেশের নদীভাঙন কবলিত উপকূলীয় এলাকাগুলোতে
এটি ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে আছে। সন্তানদের শিক্ষিত করার বদৌলতে নদীভাঙন কবলিত
এলাকাগুলোতে অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তাদের শিশুবিবাহ নামক আগুনে ঠেলে দিচ্ছেন অভিভাবকরা।
ফলস্বরুপ সংসারের দায়িত্ব পাওয়া অনভিজ্ঞ কিশোরীরা মানসিক
স্বাস্থ্যহানির পাশাপাশি শারিরীক ভাবেও ক্ষতিগ্রস্থ হন। অল্প বয়সে গর্ভধারণ ও
সন্তান জন্মদান করতে গিয়ে জীবন দিচ্ছেন অনেকে। পঙ্গু, বিকলাঙ্গ, প্রতিবন্ধি শিশুর
জন্ম দিচ্ছেন অনেকে। তাছাড়া যৌতুক তো রয়েছেই।
তবে বাল্যবিবাহ রুখতে সচেতন ভূমিকায় দ্বীপ মনপুরার বেশকিছু
কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সদস্যরা।
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের সহযোগীতা নিয়ে
কিশোর-কিশোরী ক্লাবের বেশকিছু কার্যক্রম চোখে পড়ার মতো। এরই ধারাবাহিকতায়
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে উন্মুক্ত ঘোষণা বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে কিশোর-কিশোরীদের
বলিষ্ঠ কন্ঠস্বরের বহিঃপ্রকাশ।
0 মন্তব্যসমূহ