সুমাইয়া শিমু,টাংগাইল:
পড়ন্ত বিকেলে সারাফাত একাই বসে
আছে। হঠাৎ বাবা এসে হাজির। কি রে টেডেপল !
কি এতো ভাবছিস ?
ভাবছি কেন যে আমি
মুক্তিযুদ্ধের সময় হলাম না ।আসছে ১৬ ডিসেম্বর
মহান বিজয় দিবস । হ্যা,তো তোর কি হয়েছে এবার ? আমাদের ইতিহাস যখন
পড়ি তখন নিজেকে খুব গর্বিত বোধ
করি। কি ত্যাগ-ইনা করেছে আমাদের মু্ক্তিযোদ্ধারা । তুই থাকলে কি করতি শুনি ?
আমিও যুদ্ধ করতাম,প্রাণপনে
দেশমাতৃকাকে পাকিস্তানিদের কাছ থেকে রক্ষা করতাম।তুই চাইলেই তা করতে পারিস।
কীভাবে বাবা?? ধৈর্য ধর আমার
টেডপল। বলছি তবে শোন স্বাধীনতা অজন করা তখন কঠিন হলেও বেশ সহজ
ছিল কারণ শত্রু তখন নিদিষ্ট ছিল। আমারা নিশ্চিত ছিলাম যে বাংলাদেশের একমাত্র
শত্রু পাক হানাদার বাহিনী। কিন্তু এখন চিহ্নিত নয়। অ্যান্টিজেন চিহ্নিত না করে
প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থার এন্টিবডির চেয়ে অ্যান্টিজেন শক্তিশালী।
তাইতো
মনীষীরা বলেন,"স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে,
স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন"। বাবা এক্ষেত্রে আমি কি কিছু ভূমিকা রাখতে পারি? অবশ্যই। বতমানে তোমর
বয়সী শিশু কিশোররা এক্ষেত্র এগিয়ে না আসলে তাহলে এিশ লক্ষ লোকের আত্নত্যাগের
সাথে বাঙালি মা-বোনের সম্ভ্রমের যে কুরবানি হয়েছে তা স্বাথকতা অজন করতে পারবে
না। মহান মুক্তিযোদ্ধারা শুধুমাএ আমাদের আজকের দিনটার জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছে,
তাদের ত্যাগ এভাবে বিফলে যেতে পারে না। উন্নতর বিশ্বে স্বাধীন ও সুশৃঙ্খল
রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চাইলে আগে নিজেকে গড় উন্নতর মূল্যবোধ ও দেশের অগ্রগতির
লক্ষে। এভাবে তুমি ডিজিটাল মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে খ্যাতি অজন করবে Tadpale।
মুক্তিযোদ্ধা
হতে পারবো কি না জানি না কিন্তু এ যুগে বসেও
যে আমাকে যুদ্ধ করতে হবে দেশের অজানা শত্রুর বিরুদ্ধে তা আমি বুঝে গেছি। আমি এক মহান বিজয় দিবসে
ব্রতী হব।আমি কেন শুধু আমার বন্ধুদের কেও সাথে নেব আমি এই যুদ্ধে।সবাই একসাথে
শপথ করব বাংলার সূযসন্তানদের আত্নত্যাগ আমরা বিফলে যেতে দেব না, আগামীর সুরক্ষা
আমরা বতমানে শিশু-কিশোরাই করবো,দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব বাবা।
"আমরা নূতন, আমরা কুড়ি,নিখিল মানব-নন্দনে,
"ওষ্ঠে রাঙা হাসির রেখা, জীবনে জাগে
স্পন্দনে।"
|
0 মন্তব্যসমূহ