সিএনজি অটো রিকশা ও ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে কলেজ পড়ুয়া সন্তানের মৃত্যুতে বুকফাটা আহাজারী করছেন নিহত নাফিস হোসেনের মা ও বড় বোন। আর তাদের ঘিরে পাড়া প্রতিবেশী ও স্বজনরাও কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন। অনেকটাই আকস্মিক মৃত্যুর খবরে পুরো গ্রামেই যেন শোকের মাতম চলছে।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে জয়পুরহাট-ক্ষেতলাল সড়কের ক্ষেতলাল উপজেলার মালিপাড়া মোড়ে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত হয়েছেন ৫ যাত্রী। তাদের মধ্যে ক্ষেতলাল সরকারী এসএ কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র নাফিস হোসেনও ছিলেন।
সর্বশেষ সোমবার সকালে কোচিং শেষ করে জয়পুরহাট থেকে ক্ষেতলালে বাড়ি আসার কথা মোবাইল ফোনে জানিয়েছিলেন নাফিস। ঠিক এর দুই ঘন্টা পরই ছেলের মৃত্যুর সংবাদ পায় গর্ভধারিণী মা।
বড় বোন নদী জানায়, বিমান বাহিনীতে চাকুরী করার স্বপ্ন নিয়ে পড়াশোনায় মনোযোগী নাফিস আগামী এইচএসসি পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করার প্রত্যাশায় এখন থেকেই সে রাজশাহী ও জয়পুরহাটে কোচিং করছিল। সর্বশেষ সোমবার সকালে কোচিং শেষ করে জয়পুরহাট থেকে সিএনজি যোগে বাড়ি আসার পথেই এ দূর্ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেশী আফজাল হোসেন নামে একজন জানান, প্রতিনিয়ত মৃত্যুর মিছিল ঠেকাতে সড়ক মহা সড়কগুলোতে দিনের বেলায় দ্রুত গতির ট্রাক চলাচলে বন্ধ করা উচিৎ।
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিবুল ইসলাম জানান, এ দূর্ঘটনায় ট্রাক ও সিএনজি জব্দ করা হলেও এখনো ট্রাকের চালক ও হেলপারকে আটক করা যায়নি। তবে তাদের আটক করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য,সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ক্ষেতলাল উপজেলার শাখারুঞ্জ চৌধুরী পাড়ার নাফিসসহ একই উপজেলার ইটাখোলা বাজারের সিএনজি চালক আমজাদ হোসেন, খাদ্য গুদাম মহল্লার গৃহবধূ শাহনাজ পারভিন, বিআরডিবি অফিসের মাঠকর্মী শাহিনুর আক্তার ও নওগাঁর ধামইর হাট উপজেলার সিরাজুল ইসলামের বাড়িতেও চলছে শোকের মাতম।
আপনার মতামত লিখুন :