প্রতিবছরের ন্যায় নেত্রকোনা সরকারী শিশু পরিবারে (এতিমখানা) অনুষ্ঠিত হয়েছে শীতকালীন পিঠা উৎসব। আর এমন উৎসবে গ্রামীণ পিঠার সাথে পরিচয় ঘটেছে শিশু পরিবারের শত সদস্যদের। উৎসবে জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ নিজ হাতে শিশুদের মুখে পিঠা তুলে দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন। এসময় শিশু পরিবারে থাকা বিভিন্ন বয়সের শিশুদের মাঝে এক পারিবারিক আবহের সৃষ্টি হয়। আনন্দে ডুবে যায় সকল শিশুরা।
নেত্রকোনা জেলার সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের কুমড়ি গ্রামে সরকারী শিশু পরিবারে (বালক) সমাজ সেবার সহযোগিতায় এতিমখানার উপ তত্বাবধায়কের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে শীতকালীন পিঠা উৎসব।
বাহারি ধরনের শীতের পিঠা বানিয়ে আনন্দ পেয়েছে শিশুরাও। পরিবারের শিশুদের নিয়ে কতৃপক্ষ ১৪ ধরনের পিঠা বানোনোর আয়োজন করেন। আর এ আয়োজন চলে দুতিন দিন ধরে। এরপর উৎসবের আনন্দের রেশ থাকে দু থেকে তিন মাস পর্যন্ত।
শিশুরাও বাহারি ধরনের পিঠা খেয়ে আনন্দে আত্মহারা। নিজ পরিবারের আবহে এই আয়োজন হয় প্রতিবছর। আর এতে করে মানসিক বিকাশ ঘটে শিশুদের মাঝে। তারা নিজেদেরকে আলাদা করে ভাবার সুযোগ পায় না। তাদের মাঝে যেনো পারিবারিক পরিবেশ বিরাজ করে। শিশুরা যেন ফিল করতে না পারে তারা পরিবারের সাথে থাকে না এটাও ভাবেন আযোজকরা।
এরপর জেলার সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের হাতে পিঠা খেয়ে আনেন্দ আপ্লুত হয়। পিঠা উৎসবে শুধু মাত্র খাওয়াতেই সীমাবদ্ধ থাকে না। তারা গান নৃত্য করে নিজেরা আনন্দে ভাসে। বিকাল থেকে উৎসবের খাওয়া ও গান নৃত্যের আনন্দ চলে রাত পর্যন্ত।
শিশু পরিবারের উপ তত্বাবধায়ক মো. তারেক হোসেন জানান, শিশুরা এখানে কোন ভাবেই তাদেরকে একা মনে করে না। তাদের মন মানসিকতা যেন উন্নত থাকে সে জন্য সকল আয়োজন আমরা করে থাকি। আজকের উৎসবে সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. আলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সমাজ সেবার উপ পরিচালক মো. আলাল উদ্দিন বলেন, এতে দেখা যাচ্ছে যে শিশুদের ভেতরে যে পারিবারিক বন্ধন সেটি এখানে দৃঢ় হয় এবং তারা পারিবারিক আমেজ পায়। এতে মানসিক বিকাশ ঘটে। তারা যেন সব জায়গায় সম্পৃক্ততা তৈরি হয়। একে অন্যকে পিঠা বিলি করে আনন্দও পায। শুধুমাত্র পিঠা উৎসব হয় না। প্রতিটি জাতীয়সহ ঋতুভিক্তিক উৎসব খেলাধূলায় সম্পৃক্ত করার কারণ হচ্ছে তারা যেনো নিজেরা সমৃদ্ধ হয়।
আপনার মতামত লিখুন :