রমজান উপলক্ষে সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের জন্য টাকায় চাল, তেল, ডালসহ ছয় প্রকার নিত্যপণ্য নিয়ে মাত্র ১০ টাকার বাজার বসানো হয়েছে টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ সংলগ্ন বস্তিতে।
সোমবার (১১ মার্চ) সকালে শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশন ও যুবদের জন্য ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ব্যতিক্রমী এ বাজারের আয়োজন করা হয়।
এতে ৬০ টাকার বিনিময়ে ৪০০ টাকার পণ্য কিনেছেন ক্রেতারা। এক কেজি করে চাল ও মুড়ি, আধা কেজি করে ডাল, পেঁয়াজ, ছোলা ও সয়াবিন তেল কিনে ক্রেতাদের সাশ্রয় হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩০০ টাকা। শুভেচ্ছা মূল্যে পণ্য কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা।
শুভেচ্ছা মূল্যে পণ্য কিনে খুশি অসহায় ও দুঃস্থ মানুষেরা। এ কাজকে সাধুবাদ জানিয়ে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সুধীজনেরা। ১০ টাকার বাজার ছাড়াও ছিন্নমুল মানুষের মাঝে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী দেয়ার আহ্বান স্বেচ্ছাসেবী সংগঠকের।
১০ টাকার রমজান বাজারে মাত্র ১০ টাকায় মিলেছে মুড়ি, চাল, ডাল, ছোলা, পিয়াজ ও তেল। বস্তির প্রায় শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত ও খেটে খাওয়া মানুষ এ বাজার থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পেরেছেন। জেলা সদর বস্তির স্বপ্নপূরী স্কুল প্রাঙ্গণে সকাল থেকে ভিড় জমে খেটে খাওয়া মানুষদের। তারা সবাই ১০ টাকার রমজান বাজারের ক্রেতা।
এ বাজারের ক্রেতা ভ্যান চালক আরজু মিয়া বলেন, ‘এখন বাজারে জিনিসপত্রের যেই দাম, সেই সময়ে মাত্র ১০ টাকা করে জিনিস কিনতে পারছি এতেই খুশি আমি।’
অপর ক্রেতা রেজিয়া বেগম ও সুলতানা আক্তার বলেন, রোজা ও ঈদকে কেন্দ্র নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে চলছে। এতে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষেরা সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছে। এমন বাজার প্রতি মাসেই বসা উচিত। আমার মতো অনেক গরিব মানুষ উপকার পাবে এই বাজার থেকে।
সাংস্কৃতিক কর্মী সাম্য রহমান ও আব্দুল গনি আল রুহি বলেন, এটি মহৎ একটি উদ্যোগ। এতে সমাজের অসহায়, দুঃস্থ ও নিম্ন শ্রেণীর মানুষের মুখে হাসি ফুটবে। তাই দেশের সামর্থ ও বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে সকল মানুষের মুখে হাসি ফুটানো সম্ভব।
বাজারের সমন্বয়ক সামিউল ইসলাম সামি বলেন, ‘সুবিধাবঞ্চিত মানুষেরা যেন সম্মানের সঙ্গে কেনাকাটা করতে পারেন, সেজন্য শুভেচ্ছা মুল্যে পণ্য দেয়া হচ্ছে।
বাজারের ক্রেতা যারা তাদের আগে থেকে আমরা নির্বাচিত করেছি। যাদের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো নয় এবং পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি এমন মানুষদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।’
১০ টাকার রমজান বাজারের উদ্যোক্তা ও সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মুঈদ হাসান তড়িৎ জানান, রমজানে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতেই এমন উদ্যোগ। প্রতিটা পণ্যে ভর্তুকি দেয়া হয়েছে। একজন ক্রেতার ৩৩০ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আরও বড় পরিসরে এমন বাজারের আয়োজন করার ইচ্ছা আছে। ঈদ উপলক্ষেও ১০ টাকায় ঈদ বাজার আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :