শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে কর্তব্য অবহেলার প্রমাণ পেলেই জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান হাইকোর্টের বিচারপতি ও সুপ্রীম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন। শনিবার(২৭ আগষ্ট)দুপুরে গাজিপুর জেলার কোনাবাড়ি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (বালিকা) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকরা শিশু পালানো, মৃত্যু, মারামারি ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন করলে তার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন তিনি টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (বালক) পরিদর্শন করেন।
বিচারপতি আরও বলেন, টঙ্গীতে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের (বালক) চেয়ে কোনাবাড়ি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের (বালিকা)পর্যাপ্ত বাসস্থানের ব্যবস্থা রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন ।
কোনাবাড়ির কারেকশন সেন্টারেও খাওয়া-দাওয়া বাসস্থান সন্তুষ্টজনক বলেও মনে হয়েছে তার কাছে। কিন্তু টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে বাসস্থানের সংকট রয়েছে। সেখানে তিনশ আসনে আটশ শিশু বসবাস করছে। তাদের বাসস্থানের জন্য তড়িৎ ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন। তাদের ট্রেনিং, স্বাস্থ্য, মানসিক বিষয়গুলো আমাদের চিন্তা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকদের ভুল হতে পারে এমনকি জুডিসিয়ালেরও ভুল হতে পারে। মানুষ মাত্রেই ভুল হয়। তবে, চেষ্টা করতে হবে যাতে, সংবাদগুলোর মাধ্যমে অসহায় ও দুস্থ মানুষগুলো উপকৃত হয়।
তিনি বলেন, সারা দেশে অনেক বালক ক্রাইমের সঙ্গে জড়িত, সে ব্যাপারে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে। আমাদের মাননীয় চিফ জাস্টিজও এসব ব্যাপারে খুবই সোচ্চার। সেজন্য তিনি আমাকে এসব সেন্টার পরিদর্শনের দায়িত্ব দিয়েছেন।
গাজীপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মমতাজ বেগম, গাজীপুরের নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) শামীমা আফরোজ, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, সুপ্রীম কোর্ট লিগ্যাল এইডের কর্মকর্তা (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ) ফারাহ মামুন, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক এস এম আনোয়ারুল করিম, এ টি এম তৌহিদুজ্জামান, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের (বালিকা) তত্ত্বাবধায়ক কে এম ওবায়দুল্লাহ আল মাসুদসহ অনেকে এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :