মো: রাকিব হাসান হৃদয়, সুনামগঞ্জ:
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে স্কুলছাত্র ভাতিজার আত্মহত্যার খবর শুনে আবেগতাড়িত স্ট্যাটাস লিখে মারা গেছেন চাচা মনোহর আলী। বুধবার (১৫ জুন) রাতে আত্মহত্যা করে সায়েম আহমদ (১৩) নামে ওই স্কুলছাত্র। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবেগতাড়িত একটি স্ট্যাটাস লিখে বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) পোস্ট লেখার কয়েক ঘণ্টার মাথায় মারা যান তিনি।
এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে সায়েম আহমদ নামে এক স্কুলছাত্র আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে দিরাই থানা পুলিশ সায়েম আহমদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছেন ।
সায়েম আহমদের বাবা গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আমার ছেলে আলহাজ্ব আব্দুল মতলিব উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল। বুধবার বিকেলে মাছ ধরতে হাওরে যায়। ফিরে এসে সন্ধ্যার পর সে নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। রাত ৮টার দিকে তার মা রাতের খাবার খেতে অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেও সাড়া পাননি। পরে দরজার তালা খুলে দেখি ছেলে ঘরের তীরের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় নাচনী বাজারে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়।’তিনি আরো জানান, ছেলে কেন আত্মহত্যা করেছে সে বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। পরিবারের কারো সাথে তার ঝগড়াও হয়নি।
সায়েমের চাচার লেখা পোস্টেটিতে বলা হয়, ‘জারলিয়া গ্রামের গোলাম রব্বানী ভাইয়ের ছেলে সায়েমের মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না, প্রায় সময় বাজারে দেখা হতো, তার সাথে আলাপ হতো, সে খুব ভালো কবিতা আবৃত্তি করতো, আল্লাহ তুমি মাফ করে দাও।’
মনোহরের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সায়েমের আত্মহত্যার খবর পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পরেন তিনি। দুপুর বেলা হঠাৎ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মনোহর। গ্রামের এমন পাশাপাশি দু’টি মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।
দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, স্কুলছাত্র সায়েমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। থানায় অপমৃত্যুর একটি মামলা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :