উৎসবের রেওয়াজ বাঙালি সংস্কৃতিতে পুরোনো।হোক সেইটা যে কোন উৎসব।কিন্তু সেই উৎসব টা যদি হয় শিশু কেন্দ্রিক তা যেন একটু ভিন্ন মাত্রায় শিশুদের আনন্দকে বাড়িয়ে দেয়।
এমনই এক ব্যতিক্রমী শিশুকেন্দ্রিক উৎসবের আয়োজন করেছে টাঙ্গাইলের সেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন দশমিক ফাউন্ডেশন।যার প্রধান অতিথিরা ছিলো শুধুই শিশুরা।
বাহারি পিঠার আয়োজন সমাজের বিত্তবানদের ঘরে ঘরে থাকলেও সমাজের হতদরিদ্র, অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুরা পিঠা উৎসব থেকে বঞ্চিত হয়। অর্থাভাবে খাওয়াও হয় না শীতের পিঠা। আর মায়ের হাতের পিঠাপুলি খাওয়াতো শুধু স্বপ্নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
কিন্তু এই সীমাবদ্ধতা কে পিছনে ফেলে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য পিঠা উৎসবের আয়োজন কে সফল করতে দশমিক ফাউন্ডেশনের তরুণ শিক্ষার্থীরা তাদের হাত খরচের টাকায় তারা এ উৎসবের আয়োজন করেন।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি (শনিবার) টাঙ্গাইল পৌর শহরের পাতুলিপাড়া দশমিক ফাউন্ডেশনের পাঠশালা প্রাঙ্গণের কাগমারি বস্তি এলাকায় পথশিশুদের নিয়ে পিঠা উৎসবের আয়োজন করে সংগঠনটি।এতে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে শিশুরা। শিশুদের দেশীয় ঐতিহ্য পিঠার নামও পরিচিত করিয়ে দেওয়া হয়।
পিঠা উৎসবে আসা পথশিশু মানিক, চাঁদনি ইসমেতারা ও সুমাইয়া খাতুন বলেন- আমরা টাকার অভাবে পিঠা কিনে খেতে পারি না। তাই আমাদের নিয়ে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। এ শীতকালে তাদের কারণে পিঠা খাওয়ার সুযোগ হয়েছে। অনেকগুলো পিঠা খেয়েছি। প্রতিবার এমন আয়োজন চাই আমরা।
দশমিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মিনারুল ইসলাম বলেন, সমাজের অবহেলিত ও ছিন্নমূল পথশিশুরাই পিঠা উৎসবে প্রধান ও বিশেষ অতিথি। সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা মুখোরোচক পিঠা থেকে হয়তো বঞ্চিত থাকে। এজন্য প্রতিবারের মতো এবারও অর্ধশতাধিক পথশিশুদের নিয়ে দশমিক পাঠশালাতে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। আগামীতে আরও বড় পরিসরে আয়োজন করব।
আপনার মতামত লিখুন :