সাকলাইন শিহাব, সিরজগঞ্জ :
৭ বছরের ফুটফুটে শিশু সন্তান রিফাত।জন্মের ৭/৮ মাস পর থেকেই দুচোখে সমস্যা।বাম চোখটি তুলে ফেলে সেখানে পাথরের চোখ লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞরা। বাম চোখটি প্রতিস্থাপন করতে না পারলে ডান পাশের চোখটিও নষ্ট হয়ে যেতে পারে ফুটফুটে শিশু সন্তান রিফাতের। এমনটাই জানালেন রিফাতের মা সিরাজগঞ্জ সদর থানার খোকশাবাড়ি উত্তরপাড়া গ্রামের হাফিজা খাতুন।
মা হাফিজা খাতুন অভাবের স্বামী সংসার ছেড়ে বাবার সংসারে অর্ধাহারে অনাহারে দিন পার করছেন ৭ বছরের শিশু সন্তান রিফাতকে নিয়ে।
রিফাতের বাবা মো. মোতালেব শেখের বাড়ি সিরাজগঞ্জ সদর থানার ফুলকোচা গ্রামে। দিনমজুর মোতালেব ইনকাম করে সংসার চালাতে হিমশিম খান। এ কারণে হাফিজা স্বামী সংসার থেকে বাবা হাবিবরের সংসারে এসে দিন কাটাচ্ছেন। হাবিবর পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। খুবই অল্প পুঁজি দিয়ে কাঁচামালের ব্যবসা করেন। দিন শেষে যা আয় হয় তা দিয়ে ৫ জনের সংসার চালান।
রিফাতের মা হাফিজা খাতুন বলেন, ছেলের জন্মের পর থেকেই দু চোখে সমস্যা দেখা দেয় রিফাতের। চোখের সাদা পর্দার উপরে আবরণ পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে এক চোখ। অনেক চিকিৎসা করেও কোনো সুফল দেখা যায়নি। ধার-দেনা করে ছেলের চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে পারেননি মা হাফিজা খাতুন। ইতোমধ্যে ৫০ হাজার টাকা ধার করে রিফাতের চিকিৎসার জন্য খরচ করেছেন মা হাফিজা খাতুন। ডাক্তারের পরামর্শে বাম পাশের চোখটি অপারেশন করে পাথরের চোখ বসাতে হবে। তা না করলে ডান পাশের চোখটিও নষ্ট হয়ে যেতে পারে রিফাতের । দুটি চোখই চিরদিনের জন্য অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ার বিভিন্ন চক্ষু সার্জনকে রিফাতকে দেখানোর পর ঢাকার ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হচ্ছে এই ফুটফুটে শিশুকে। ছেলের চিকিৎসার জন্য হাফিজা সকলের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন মা হাফিজা খাতুন।
মা হাফিজার মোবাইল নাম্বার 01793327515
আপনার মতামত লিখুন :