শিশু বার্তা দপ্তর (সিরাজগঞ্জ):
দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে কোন সন্তান জন্ম না দেয়ায় স্বামী এবং শ্বশুর বাড়ির লোকজনের চাপের মুখে দুই শিশু চুরি করেন সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার। আলোকদিয়ার গ্রামের আলপনা খাতুন। শিশু চুরির ঘটনায় ৮ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম।
পুলিশ সুপার বলেন, ৭ বছর পূর্বে উল্লাপাড়া উপজেলার সাদ্দাম হোসেনের সাথে সলঙ্গা থানার আলোকদিয়া গ্রামের আলপনা খাতুনের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের কোন সন্তান জন্ম না দেয়ায় স্বামী এবং শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে চাপ সৃষ্টি করে। তাদের চাপের মুখে শিশু চুরি করার পরিকল্পনা করেন আলপনা। সে গর্ভবতী হয়েছে এমন কথা বলে শ্বশুর বাড়ি থেকে পিতার বাড়িতে চলে আসেন এবং বাচ্চা চুরির পরিকল্পা করেন। এজন্য সে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের এক কর্মচারীর সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন। তার সহযোগীতায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারী সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল থেকে মাহিম নামে এক শিশুকে চুরি করে তার পিতার বাড়িতে নিয়ে আসেন। শিশুটি ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে শিশুটিকে স্থানীয় একজন পল্লী চিকিৎসকের চিকিৎসা নেয়ার পর শিশুটির মৃত্যু হয়। মৃত শিশুটিকে ধানের গোলার মধ্যে লুকিয়ে রেখে আরেকটি শিশু চুরির পরিকল্পনা করে আলপনা। এরই প্রেক্ষিতে শনিবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ রোড এলাকার সাখাওয়াত মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে সামিউল নামে এক দিনের নবজাতককে চুরি করে পিতার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। রাত ১১টায় র্যাব ও পুলিশের একটি দল আলোকদিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে এক শিশুকে মৃত ও আরেকজনকে জীবিত উদ্ধার করে। এঘটনায় পুলিশ ৮ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তাদের আগামীকাল সোমবার তাদের আদালতে প্রেরন করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :