বাল্য বিবাহ বন্ধের পর এভাবেই বাবা মেয়ের সঙ্গে ছবি তোলেন ইউপি সদস্য। কিন্তুশেষ পর্যন্ত তার তত্ত্বাবধায়নেই হয় বিয়ে।সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মুচলেকা নিয়ে সুমাইয়া খাতুন নামে এক স্কুল ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। তাকে রেখে আসা হয় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান হিরনের জিম্মায়। আর কিছু সময় পরে সেই ইউপি সদস্যের ব্যবস্থাপনায়ই বিয়ে হয় এই ছাত্রীর!
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (১৫ জুলাই) তালম উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ও উপজেলার কলাকোপা গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া খাতুনের(১৪) বিয়ে উপলক্ষে রীতিমতো প্যান্ডেল সাঁজিয়ে এবং গরু জবাই করে বিয়ের আয়োজন করা হয়। তবে যথা সময়ে ওই বিয়ে বাড়িতে হাজির হোন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কার্যালয়ের অফিস সহকারী ঝরনা খাতুন ও তাড়াশ থানার এস আই আমিনুল ইসলাম।
অতঃপর তাদের হস্তক্ষেপে বন্ধ হয় বাল্যবিয়ে। পরবর্তীতে কোনো রকমরে কৌশল অবলম্বন করে যাতে সুমাইয়ার বিয়ে না দেওয়া হয় তা নিশ্চিত করতে তাকে তালম ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান হিরনের জিম্মায় রেখে আসা হয়। কিন্তু তিনি মুচলেকা ভঙ্গ করে সেই রাতেই একই ইউনিয়নের তারটিয়া গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে আলামিন(২২) এর সাথে বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করে স্বামীর বাড়ি পাঠিয়ে দেন মেয়েটিকে।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান হিরন মুচলেকা ভঙ্গের বিষষটি স্বীকার করে জানান, তিনি একজন জন প্রতিনিধি। জনস্বার্থে তার অনেক কিছুই করতে হয়।তাই তিনি এ কাজ করেছেন
এদিকে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের অফিস সহকারী ঝরনা খাতুন জানিয়েছেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক। তিনি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ বরাবর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলবেন।‘
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ জানিয়েছেন, ‘ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষে তিনি দ্রুততম সময়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ইফ্ফাত জাহানের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।‘
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ইফ্ফাত জাহান দৈনিক ইত্তেফাককে বলেন, সার্বিক ঘটনার সত্যতা যাচাই করে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :