মোঃ শরিফুল ইসলাম:
কোয়ারেন্টাইনে আমার সময় ভালো যাচ্ছে । আমি নিজেকে সময় দিতে পারছি, বই পড়তে পারছি, বাবা-মাকে সাহায্য করতে পারছি বাসার কাজে । নতুন নতুন জিনিস শিখছি । সমস্যা হচ্ছে আমার ভাইয়া মসজিদে নামাজ পড়াতে যান, তাই ৫ বার উনাকে বাইরে যেতে হয় অনেক মানুষের সংস্পর্শে । এই জন্য কিছুটা বাড়তি শঙ্কায় থাকতে হচ্ছে আমাদের।
হাফসা রহমান হৃদি:
কোরান্টাইন এর দিন গুলি খুবই একঘেয়ে যাচ্ছে।সাধারনতই ঘুম,খাওয়া-দাওয়া,পড়াশোনা তেই দিন অতিবাহিত হচ্ছে।অনলাইনে বিভিন্ন ক্লাস করছি।বিনোদনের জন্য টিভি দেখা হয় মাঝেমধ্যে।এভাবেই কাটছে একঘেয়ে কোরান্টাইন এর সময় গুলো।সারাদিন ঘরে থাকার কারনে মানসিকভাবে দুর্বল হচ্ছি।পড়াশোনারও ক্ষতি হচ্ছে।
অরিজিত দত্ত আবীর:
গত ১৮ই মার্চ থেকে কলেজ বন্ধ। কলেজ বন্ধ থাকার জন্য বাড়িতে চলে আসি এবং আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত হোম-কোয়ারেন্টাইনে আছি। কাজের মাঝে শুধু তিন বেলা খাওয়া, ঘুম আর কলেজের অনলাইন ক্লাস।এই কোয়ারেন্টাইনে থাকার দরুন সব থেকে বেশি পড়াশোনা করতে সমস্যা হচ্ছে।
মোঃ জাহিদুল হক সাদ:
কোয়ারেন্টাইনের সবচেয়ে বেশি সময় পার করছি মোবাইল পেছনে,বিশেষ ভাবে অনলাইনে।তাছাড়া টিভি দেখা,নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করা,মাঝে মাঝে পরিবারের সদস্যদের সাথে খুশগল্প এইসবেই সময় কাটছে।সমস্যা দিক থেকে বলতে গেলে,এতদিন ঘরে থাকাটা রীতিমতো অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে।ধীরে ধীরে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছি।
আকিব রুবাইয়াত তাহমিদ: আমাদের মতো খেলার মাঠ দাপিয়ে বেড়ানো মানুষজনের জন্য কোয়ারেন্টাইন একটা অভিশাপের নাম। এতদিন কখনো আমরা একাধারে ঘরকুনো থাকিনি বলে আমাদের হঠাৎ ই মুড সুইং হচ্ছে।এই সময়টাতে আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আর গল্প,কবিতা লিখে সময় কাটাচ্ছি।
সবার বক্তব্য পর্যালোচনা করে এটা স্পষ্ট যে, দীর্ঘ সময় ঘরে বসে থেকে লেখা পড়া ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। তবে যেহেতু এই প্রানঘাতি ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয় নি,সেহেতু বিশেষজ্ঞদের মতে এটি রোধে একমাত্র পন্থা হলো সংক্রামণ এড়িয়ে চলা।আর জন্য ঘরে থাকার বিকল্প নেই।তাই আসুন সকলে ঘরে থাকি,সুস্থ থাকি।
আপনার মতামত লিখুন :