শিশু শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রাখতে সারাদেশে ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের মাঝে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(২৬ আগষ্ট) সকালে রাজধানীর নীলক্ষেত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠানিকভাবে শিশু শিক্ষার্থীদের টিকাদানের কর্মসূচি শুরু হয়।
এসময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনে ১৮৬টি কেন্দ্রে পূর্ণাঙ্গভাবে শিশুদের টিকা দেয়ার কাজ চলবে। পরে পর্যায়ক্রমে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষার্থীদেরও টিকা প্রয়োগ করা হবে।
টিকা পেতে শিশুদের ১৭ ডিজিটের জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে সুরক্ষা সুরক্ষা ওয়েবসাইট বা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে সিটি করপোরেশন এলাকাগুলোতে বসবাসরত শিশুদের এ টিকা দেয়া হচ্ছে। ক্রমান্বয়ে তা দেশের অন্যান্য এলাকায় শুরু হবে।
আগামী ২ সপ্তাহ এ কর্মসূচিটি চলবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এর আগে ১১ আগস্ট কর্মসূচির উদ্বোধনী দিনে ১৬ শিশু শিক্ষার্থীকে পরীক্ষামূলকভাবে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হয়েছে।
টিকা পেতে সুরক্ষ ওয়েবসাইট-অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করতে যা করতে হবে শিশু শিক্ষার্থীদের :
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেসব ৫-১১ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন (১৭ ডিজিট) নেই টিকা পেতে তাদের জন্ম নিবন্ধন অবিলম্বে সম্পন্ন ও তা দ্বারা সুরক্ষা ওয়েবসাইট বা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করতে হবে। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের এ বিষয়ে জানাবেন। তাদের দ্রুততার সাথে শিক্ষার্থীদের জন্মনিবন্ধনের অনুরোধ জানানোসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবেন।
জানা গেছে, সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসাররা স্ব-স্ব ক্লাস্টারের বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ টিকার জন্য নিবন্ধন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও তদারকির কাজ করবেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসাররা তার আওতাধীন উপজেলার শিক্ষর্থীদের টিকা নিবন্ধন কার্যক্রমের অগ্রগতি দৈনিক ভিত্তিতে মনিটর করবেন, কোন সমস্যা থাকলে তার সমাধানের প্রয়াস নিবেন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করবেন। বিভাগীয় উপপরিচালক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসাররা সার্বিক বিষয়টি তত্ত্ববধান করবেন এবং টিকা নিবন্ধন ও টিকা দেয়া ব্যবস্থাপনা সুসম্পন্ন করার লক্ষ্যে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা, সহায়তা দেয়াসহ সার্বিক বিষয় সমন্বয় করবেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ৮ মার্চ। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে করোনার সংক্রমণের চিত্র কয়েক দফা ওঠানামা করতে দেখা গেছে। স্বাস্থ্য বিভাগ ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের মানুষকে করোনার টিকা দেয়া শুরু করে। সরকারি ছুটির দিন ছাড়া নির্ধারিত টিকাকেন্দ্রে প্রতিদিন টিকা দেয়া হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশে জনসংখ্যার ৭৬ শতাংশ করোনার টিকার প্রথম ডোজ এবং ৭১ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছে। আর ২৩ শতাংশ পেয়েছে বুস্টার ডোজ।
আপনার মতামত লিখুন :