সাকলাইন শিহাব, সিরাজগঞ্জ:
করোনা মহামারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে সিরাজগঞ্জের সকল উপজেলার হতদরিদ্র পরিবারের শিশু শিক্ষার্থীরা।করোনায় ভুগছে দেশের সকল শ্রেণীপেশার মানুষ।এতে বেশি ভুগছে শিশুরা।সাধারণ ভাবে তো রোগবালাই লেগেই আছে। তার উপরে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ।এতে বেড়েছে শিশুশ্রম সহ কিশোর অপরাধ।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সময় ৮০ শতাংশ কমেছে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এই সময় পড়াশোনার সময় কমার বিপরীতে বেড়েছে শিশু শ্রমের হার।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এর ফলে দারিদ্র্য বেড়ে গিয়ে শিশু শ্রম বাড়বে। কারণ বেঁচে থাকার জন্য পরিবারগুলো সম্ভাব্য সকল ভাবে চেষ্টা করবে।
কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, নির্দিষ্ট কিছু দেশে দারিদ্র্য ১ শতাংশীয় পয়েন্ট বৃদ্ধিতে শিশু শ্রম অন্তত দশমিক ৭ শতাংশ বাড়বে।
দারিদ্রতা বৃদ্ধি,স্কুল বন্ধ ও সামাজিক সেবা প্রাপ্তি কমতে থাকায় শিশুরা চলে যাচ্ছে কর্মক্ষেত্রে।এতে বেড়েই চলছে শিশুশ্রম সহ শিশু অপরাধ।
শিশুশ্রম আজ বিশ্বের এক ভয়ঙ্কর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছেন।দিনে দিনে শিশুশ্রমের পরিমান হ্রাস অপেক্ষায় বৃদ্ধি পাচ্ছেন।প্রতিদিনই জীবনধারন আর দুবেলা দু’মুঠো অন্নের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভারী কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন শিশুরা।
বর্তমানে সারা দেশে অসংখ্য শিশু শিশুশ্রম এর সাথে জড়িত।এদের জীবন যতটা ঝুঁকিপূর্ণ তেমনি ভবিষ্যৎ অন্ধকারছন্ন।
বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের জেলা সিরাজগঞ্জ এর বিভিন্ন স্থানের লক্ষ করলে দেখা যায় শিশুরা শিশুশ্রম এর সাথে জড়িত।এরা গাড়ির গ্যারেজ,ওয়াকসপ,বিভিন্ন পরিবহনসহ ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন কাজে জড়িত।যা তাদের জীবনের অন্ধকার পথের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।আর এসব কাজ করতে অনেক শিশু জড়িয়ে পড়ছেন বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে।
আপনার মতামত লিখুন :