‘অ্যান্টিভেনম থাকলে ছেলেকে হারাতাম না’ – সাইদুরের বাবা


শিশু বার্তা প্রতিবেদক: প্রকাশের সময় : ২১/০৮/২০২৩, ৬:২৮ PM
‘অ্যান্টিভেনম থাকলে ছেলেকে হারাতাম না’ – সাইদুরের বাবা

ঠাকুরগাঁওয়ে সাপের কামড়ে স্কুল পড়ুয়া সাইদুর রহমান (১২) নামে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার ২১ আগস্ট ভোররাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে গুরুতর অসুস্থ্যবোধ করলে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত স্কুল ছাত্র বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের বেলবাড়ী মন্নাপাড়া গ্রামের আবু হানিফের ছেলে ও বেলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় ছাত্র ছিল।

মৃত স্কুলছাত্রের বাবা আবু হানিফের দাবি, ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ‘অ্যান্টিভেনম’ না থাকার কারণেই তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ‘অ্যান্টিভেনম’ থাকলে তার ছেলেকে হারাতে হতো না বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি আরো জানান, গতকাল রবিবার (২০ আগস্ট) রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তার বড় ছেলে সাইদুর রহমানকে সাপড়ে কামড় দিলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে ‘অ্যান্টিভেনম’না থাকায় ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

এরপর রাত ৩টায় জেনালের হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় শিশুটিকে। পরে হাসপাতাল থেকে ১০ ভায়াল ‘অ্যান্টিভেনম’ ইনকেজশন ছেলের শরীরে পুষ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

তারপরেও শিশুটির অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আবু মোঃ রাজিবুল উল দোজা জানান, শিশুর অভিভাবকের দেয়া তথ্য সত্য নয়। সময় মত ওই শিশুটিকে হাসপাতাল থেকেই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে। তবে তারা শিশুটিকে দেরিতে নিয়ে এসেছে। এ কারনে সাপের বিষ আগেই শরিরের সব জায়গায় ছড়িয়েছে। ফলে তার অবস্থা জটিলে রুপ নেয়।

আর এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা: নুর নেওয়াজ আহমেদ জানান, সম্প্রতি জেলায় সাপেড় কামড় দেওয়ার ঘটনা বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় ‘অ্যান্টিভেনম’ বরাদ্দ পাচ্ছে না হাসপাতালগুলো। দ্রুত ‘অ্যান্টিভেনম’ ইনজেকশনের ব্যবস্থার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে বলার পাশাপাশি কেন শিশুর মৃত্যু হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে।