অর্থের অভাবে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত শিশু সৈকত


শিশু বার্তা ডেস্ক: প্রকাশের সময় : ২০/০৯/২০২৩, ৪:১০ PM
অর্থের অভাবে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত শিশু সৈকত

জন্মের পর থেকেই চোখের সমস্যায় আক্রান্ত ৫ বছর বয়সী শিশু সৈকত। নানাবিধ চিকিৎসার পরেও পুরোপুরি সুস্থ হয় নি শিশু সৈকত।

যে বয়সে হেসে খেলে শৈশব কাটানোর কথা শিশু সৈকতের,সে বয়সে সিরাজগঞ্জের শিশু সৈককে সহ্য করতে হচ্ছে চোখের অসহনীয় যন্ত্রণা।অর্থের অভাবে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হওয়া অসহায় শিশু সৈকতের মায়ের আকুতি কারো কানে পৌঁছবে কি?

সিরাজগঞ্জ সদর হসপিটাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রেফার করা হয় শিশু সৈকতকে। সেখানে ভর্তি করে হলে শিশুটির এক চোখের অস্র পাচার করেন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাক্ষ ডাঃ আশিকুর রহমান।অস্র পাচার শেষে দেখা যায় শিশুটির চোখের অবস্থা ঠিক আগের মতোই।শিশুটির রোগেন নাম সি,এন,এল,ডি,ও (লি আই এফ)

সিরাজগঞ্জ বেলকুচি উপজেলায় অবস্থিত বাহেলা খাতুন চক্ষু ও শিশু হাসপাতাল সৈকতকে দেখালে, উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার হয়, ঢাকার ফার্মগেটে অবস্থিত ইসপাহানি ইসলামিয়া আই ইনস্টটিউট ও হাসপাতালে।

কিন্তু অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে এখন বাড়িতেই রয়েছেন। সাহায্য চেয়েও কোথাও না পেয়ে শিশুটির গৃহপরিচারিকা মা ও নিরাপত্তা প্রহর বাবা যেন চোখের সামনে সন্তানের চোখ অন্ধ হতে দেখছে ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ২ ওয়ার্ডের সয়াধানগড়া মহল্লার মো. উজ্জল হোসেন সিরাজগঞ্জ অবস্থিত এক প্রাইভেট কোম্পানিতে নিরাপত্তা প্রহরী জীবিকা নির্বাহ করেন। গ্রামে স্ত্রী সালমা বেগম দুই শিশু সন্তান নিয়ে বসবাস করেন এবং পরের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

শিশুটির মা বলেন, আমার ছেলে সৈক্তের বর্তমান বয়স ৫ বছর।আমার ছেলেটি জন্মগতভাবেই চোখের সমস্যা দেখা দেয় অনেক চিকিৎসা করার পর নিঃস্ব হয়ে পড়ি, আমার পরিবার আর কেউ নেই। কোন উপায় না পেয়ে স্থানীয়ভাবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করানো হচ্ছে। এ অবস্থায় কোনো উন্নতি নেই,শিশুটির মা সালমা বেগম বলেন, এহন তো দেহি আমার চোখের সামনেই আমার ছেলে অন্ধ হয়ে যাইতেছে । আমি কিছুই করতে পারছিনা।

শিশুটির চাচি নাফিজা বেগম বলেন, আমরা বুঝি যে সঠিক চিকিৎসা না হলে আমার একটা অন্ধের দিকে যাবে । কিন্তু কি করব, চোখের সামনে অবুঝ এই শিশুডার এই অবস্থা দেখে তহন দেইখ্যা খালি কান্দি।

প্রসঙ্গত,শিশুটির জন্ম পর থেকে চোখ দিয়ে পানি পড়ে ও ময়লা জমে দু-চোখ বন্ধ হয়ে যায়, বিভিন্নভাবে চিকিৎসা দেওয়ার পরে সৈকত এর চোখ ভালো হয় না। অর্থ অভাবে ছেলের সুচিকিৎসা করতে না পেরে শিশুটির পরিবার সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তিদের তার ছেলের চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেন।সাহায্য পাঠানোর জন্য বাবার মোবাইল নম্বর-বিকাশ ০১৯১৫৮৭৯৬২৫।