শিশুটির নাম রাশেদ। বাড়ি ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ঢালচরে। এ বয়সের শিশুরা যতটা চঞ্চল হয় রাশেদ ঠিক তার বিপরীত । কেমন যেন একটা আনমনা ভাব মনের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছে সে। কিন্তু সেটি ফুটে উঠে তার চেহারায়।
সম্প্রতি রাশেদের সাথে কথা হয়েছে আমাদের ভোলা জেলার শিশু বার্তা প্রতিনিধির সাথে। রাশেদ জানিয়েছে তার জীবনের গল্প
গত ২ বছর আগেও স্বাভাবিক জীবন ছিল তার। ছিল অন্য সবার মতই একটি পরিবার, পরিবারে ছিল রাশেদ মা-বাবা, আর ভাই। কিন্তু রাক্ষুসে মেঘনার ভাঙন উলট পালট করে দিয়েছে তার সবকিছু।
নদীভাঙনে সর্বস্ব হারিয়ে ঠাই হয় শহরের বস্তিতে। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই বাবা-মায়ের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। রাশেদের মা ঢাকার কোনো এক বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করছে। তার একমাত্র ভাইও শিশুশ্রমিক হিসেবে কাজ করছে।
রাশেদ এবার সবেমাত্র দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ছে। তার প্রবল ইচ্ছা পড়ালেখা করার। কিন্তু কতদূর অবদি লেখাপড়া করতে পারবে তাও অজানা তার। ভবিষ্যৎ এর দুশ্চিন্তায় দিন পার করছে ছোট এই শিশুটি।
স্থানীয় চালচর ইউনিয়নে গিয়াসউদ্দিন পাটওয়ারী(শিশুদের নিয়ে কাজ করেন)
তিনি শিশু বার্তাকে বলেন, “নদী ভাঙনে সবগুলো বিদ্যালয় ভেঙ্গে যাওয়ায় ছোট ছোট বাচ্চারা পড়ালেখা বাদ দিয়া নদীতে কাজ করছে। অনেকেই শহরে কাজে চলে গেছে। রাশেদও তাদের মধ্য একজন।
রাশেদ নয় তার মত আরো অসংখ্য শিশু আছে যারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে হারিয়েছে তাদের সুন্দর শৈশব।
আপনার মতামত লিখুন :