সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে প্রতিবন্ধি কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ


Admin প্রকাশের সময় : ১৩/০২/২০২০, ১২:৩৪ AM
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে প্রতিবন্ধি কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ


রিফাত খান, স্টাফ রিপোর্টার:
সিরাজগঞ্জে কামারখন্দ উপজেলার পাইকোশা গ্রামে শারীরিক প্রতিবন্ধি এক কিশোরীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষনের অভিযোগ ঠেছে। সুলতান মাহমুদ (৫৫) নামের এক মুদী দোকানদারের বিরুদ্ধে অভিযোগটি আনা হয়।স্থানীয় প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করার কারনে থানায় মামলা করতে পারেনি প্রতিবন্ধি ওই কিশোরীর পরিবার।
নির্যাতিত পরিবারের অভিযোগ, গত রোববার সকালে তার শারীরিক প্রতিবন্ধি কিশোরী বাড়ির পাশে খেলা করছিলো। এসময় বাড়ির পাশ্ববর্তী মুদী দোকানদার সুলতান মাহমুদ তাকে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। ঘরের মধ্যে নিয়ে ছাগলের রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষন করে। এসময় প্রতিবন্ধি কিশোরী চিৎকার করলে ওড়না দিয়ে তার মুখ চেপে ধরে ধর্ষন করে। পরে বাড়ি ফিরে এসে ঘটনাটি তার মা ও দাদাকে জানায় ওই কিশোরী।
এ নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে উত্তেজনার একপর্যায়ে মারামারি শুরু হয়। এতে সুলতান মাহমুদ গুরুতর আহত হয়ে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। চিকিৎসা শেষে গতকাল বিকেলে সে বাড়ি ফিরে আসে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। এঘটনায় মামলা না করতে নিষেধ করা হয়। বিষয়টি সামাজিক ভাবে মিমাংসার কথা বলেন স্থানীয় মাতব্বররা।
নির্যাতিতা কিশোরীর মা বলেন, আমার ছোট মেয়ে অসুস্থ্য। আমি ঔষুধের জন্য দোকানে যায়। পরে আমাকে মোবাইল ফোনে বলা হয় বাড়িতে গোন্ডগোল শুরু হইছে। বাড়ি এসে মেয়েকে জিজ্ঞাসা করি কি হয়ছে। সে বলে সুলতান মাহমুদ তাকে ডেকে নিয়ে ঘরে মধ্যে পা বেঁধে জামা-কাপড় খুলে ধর্ষন করে। গ্রামের লোকজন ঘটনার প্রতিবাদ জানায়। ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়। মুরুব্বিরা মিমাংসা করার চেষ্টা করার কারনে পুলিশকে জানানো হয়নি।
নির্যাতিতা কিশোরীর দাদা বলেন, আমার নাতনী বাড়ি এসে বলে সুলতান মাহমুদ আমার হাত-পা ও মুখ বেঁধে শরীরের জামা-কাপড় খুলে ফেলে আমার সাথে অপকর্ম করেছে। ঘটনাটি জানার পর গ্রামের ছেলেরা তাকে মারপিট করে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গ্রামের মাতব্বররা মিমাংসার কথা বলে থানায় যেতে নিষেধ করে।
স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল আওয়াল বলেন, প্রতিবন্ধি কিশোরীর সাথে যে ঘটনা ঘটেছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে গ্রামবাসিকে কিছুই জানানো হয়নি। পরে যখন উভয়ের মধ্যে মারামারি হয় তখন ঘটনাটি প্রকাশ পায়।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম জানান, প্রতিবন্ধি কিশোরী ধর্ষনের কোন অভিযোগ থানায় করা হয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।