শিশুদের নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস পালিত


Admin প্রকাশের সময় : ১২/০২/২০২০, ৩:২৯ PM
শিশুদের নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস পালিত

সুরক্ষিত ইন্টারনেট ব্যবহারের শপথ শিশুদের


মাহীব রেজা,শিশু বার্তা প্রতিনিধি,ঢাকাঃ

১১ ফেব্রুয়ারী, মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি ভবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও ইউনিসেফে বাংলাদেশের উদ্যোগে নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস পালিত হয়েছছে । 
দেশের প্রায় ৯ কোটিরও বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। ইন্টারনেটে সুস্থ ও সুরক্ষিত বিচরণ নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবী। ডিজিটাল বাংলাদেশে এ যেন এক অনিবার্য করনীয়। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের একটা বড় অংশ শিশু। তাই এমন আয়োজনে আমন্ত্রন ছিলো শিশু-কিশোরদের। রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক ঝাঁক ক্ষুদে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এসে জমা হয়েছিলেন আইসিটি ভবনের অডিটোরিয়ামে।
নাচ-গান আর ডকুমেন্টারিতে মুখর এমন বর্নিল আয়োজনে অতিথি হিসেবে ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি টমো হোজুমি, দক্ষিন ও মধ্য এশিয়ার ফেসবুকের প্রোগ্রাম প্রধান শেলি ঠাকরল ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের মূল পর্ব সঞ্চালনা করেন এটিএন নিউজের বার্তা প্রধান মুন্নি সাহা।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি তোমো হোজুমি বলেন, “সাইবার প্রযুক্তির ঝুঁকি সম্ভাবনাগুলো বিবেচনা করার এবং ঝুঁকিগুলো কমিয়ে আনতে আমাদের সম্মিলিত প্রজ্ঞা শক্তি ব্যবহারের সময় এসেছে। শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া কোনো সমাধান হতে পারে না, কারণ এটি একইসঙ্গে বিশাল জ্ঞান তথ্যের উৎস হিসেবে কাজ করে, যা আজকের এই বিশ্বে শিশুদের জন্য প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে শিশুরা সরাসরি  আমন্ত্রিত অতিথিদের ইন্টারনেট সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন করে । তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী দিবসটির উদ্বোধন করে বলেন-শিশুদের স্ক্রিন আসক্তি কমানোর ব্যাপারে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। শিক্ষার প্রসারে শিশু কিশোররা ইন্টারনেটে যাতে প্রয়োজনাতিরিক্ত সময় ব্যয় না করে সে ব্যাপারে বিশেষ পরামর্শও দেন। এছাড়া মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ইন্টারনেট সুরক্ষার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বিশেষ প্রেজেন্টেশন কন্টেন্ট উপস্থাপন করেন।
একজন শিক্ষার্থীর ফেসবুকে ফেক একাউন্ট প্রসঙ্গে ফেসবুকের দক্ষিন ও মধ্য এশিয়ার প্রোগ্রাম প্রধান পরামর্শ দেন যাতে ফেসবুকে প্রদত্ত সকল নিয়ম সবাই মেনে চলে। ফেক একাউন্ট বন্ধে এনআইডি ভেরিফিকেশনের প্রস্তাব শিশুরা উত্থাপন করলে তিনি জানান, আপাতত ফেসবুকের এরকম কোনো পদক্ষেপ নেবার আগ্রহ নেই।
এ প্রসঙ্গ টেনে কাঊন্টার টেরোরিজমের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, ভুয়া একাউন্ট দেশ ও জাতির জন্য হুমকি বয়ে আনে। তবে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সাইবার সিকিউরিটি ব্রাঞ্চ দেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশেষ নজরদারী করছে।
সবশেষে সকল শিশুর জন্য ইন্টারনেট সুরক্ষা কোর্স করার জন্য একটি পৃথক ওয়েবসাইট অবমুক্ত করা হয়।ইউনিসেফের উদ্যোগে নির্মিত ওয়েবসাইটটির মাধ্যমে আগামি এক বছরের মধ্যেমগ্র বাংলাদেশজুড়ে ১০ লাখ স্কুলের শিশু নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার সংক্রান্ত সনদ পাবে  যা কেবল তাদের অনলাইন অভিজ্ঞতাকেই নিরাপদ করবে না, দেশকেও নিয়ে যাবে একটি অনন্য বিশ্ব রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে। মনে করছেন ‍আয়োজকেরা। শেষে শিশুকিশোর রা সুরক্ষিত ইন্টারনেট ব্যবহারের দৃঢ় শপথ নেয়।