প্রাইভেট না পড়ায় ছাত্রীর হাত ভাঙালেন প্রধান শিক্ষক : তদন্ত কমিটি গঠন


Admin প্রকাশের সময় : ০৫/০৪/২০২২, ৭:৩০ PM
প্রাইভেট না পড়ায় ছাত্রীর হাত ভাঙালেন প্রধান শিক্ষক : তদন্ত কমিটি গঠন
সিরাজগঞ্জ অফিস:
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট না পড়ায় অফিস রুমে ডেকে নিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে  শনিবার দুপুরে তাড়াশ সদরের সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে  ঘটনা ঘটলে রোববার সকালে স্কুলছাত্রীর বাবা মোমজিবর রহমান প্রধান শিক্ষক আলী হাসান বিএসসি বিচার দাবি করে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

প্রাইভেট না পড়ার অজুহাতে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় প্রধান শিক্ষকের মারধরে মাহিয়া রহমান নামে ১০ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর হাত ভাঙার ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার (০৩ মার্চ) বিকেলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে প্রশাসন।
 
রাতে তাড়াশ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. মেজবাউল করিম তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, স্কুলছাত্রী মাহিয়াকে পিটিয়ে হাত ভাঙার বিষয়ে তার বাবা মজিবর রহমান লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি তদন্তে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লিখিত অভিযোগে আহত ছাত্রীর বাবা উল্লেখ করেন, তার মেয়ে তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী মোছা. মাহিয়া রহমান শনিবার দুপুরে টিফিনের পর বান্ধবীদের সঙ্গে গল্প করছিল। এ সময় প্রধান শিক্ষক মো. আলী হাসান তাকে অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে মারধর করেন।
প্রাইভেট না পড়ায় আগে থেকে মাহিয়ার ওপর আক্রোশ ছিল আলী হাসানের। একপর্যায়ে মাহিয়াকে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন তিনি। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ সময় চিকিৎসক এক্স রে করার পর বাম হাতের কব্জির উপরের হাড় ভেঙে গিয়েছে বলে জানান।  

এ বিষয়ে তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী হাসান বলেন, শনিবার টিফিনের পর স্কুলছাত্রী মাহিয়া মোবাইল ফোনে কথা বলছে, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে ডেকে এনে মোবাইল ফোন জব্দ করি। পরে সে ফেরার পথে আমাকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় কথা বলে। বিষয়টি অন্য ছাত্রীদের মুখে শুনে তাকে অফিসে ডেকে স্টিলের পাইপ দিয়ে মেরেছি। তবে তার হাত ভাঙার মত কিছু ঘটেনি।