গ্রাম্য মাতাব্বরসহ বিভিন্ন দপ্তরে গিয়েও বিচার কাঙ্খিত ফল পাননি তিনি। মৃত্যুর আগেও বার বার তার কষ্টের কথা বলে গেছেন স্বজনদের কাছে। এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না শাহজাহানের স্বজনরা। বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন তার স্ত্রী ও কন্যাসহ পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় বখাটে সোহেলের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন তারা।
হত দরিদ্র শাহজাহান সংবাদপত্র বিক্রির আয় দিয়ে সংসার চালাতেন। দুই ছেলে ও দুই কন্যা সন্তানের জনক তিনি। বড় মেয়ে প্যারা মেডিকেলে পড়ে। ছোট মেয়ে সুমনা বাসাইল জোবেদা-রুবেয়া মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। দুই ছেলের একজন অষ্টম শ্রেণী ও আরেকজন ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে।
একই এলাকার মাহফুজুর রহমানের বখাটে ছেলে সোহেল মিয়া প্রায়ই রাস্তাঘাটে সুমনাকে উত্যক্ত করতো। এ নিয়ে গ্রাম্য মাতাব্বরসহ বিভিন্নজনের কাছে অভিযোগ পেয়েও কোন ফল পাননি তিনি। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সম্প্রতি সোহেল সুমনাকে মারধর করে। বিষয়টি নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন শাহজাহান।
তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গত ৬ ফেব্রুয়ারি দু’পক্ষকে ডেকে শুনানি করেন। পরে কাঞ্চনপুর ও হাবলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের বিষয় সমাধানের দায়িত্ব দেন। এরপর থেকেই মূলত শাহজাহান ভেঙে পড়েন। থানা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছ থেকে বিচার না পেয়ে তিনি বিমর্ষ হয়ে যান। কন্যার উপর নির্যাতনের বিচার আর কখনও পাবেন না এমন বদ্ধমূল ধারণা থেকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ভোর রাতে তিনি মারা যান।
তথ্যসূত্রঃ টাংগাইল টাইমস২৪..।
আপনার মতামত লিখুন :