টাঙ্গাইলের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে
Admin
প্রকাশের সময় : ১৪/১২/২০১৮, ৭:২৮ AM
শেখ মাজহারুল ইসলাম সোহান,শিশু বার্তা প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় বুধবার বিকেলে দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।অভিযুক্ত ধর্ষক কালিহাতী উপজেলার গহালিয়া বাড়ি ইউপির {৬) নং ওয়ার্ডের সরাতৈল গ্রামের সালাম মিয়ার ছেলে মো. ইউসুফ।
জানা যায়, বুধবার ওই ছাত্রী তার খালার বাড়িতে বেড়াতে আসে। বিকেলে ওই ছাত্রী পাশের বাড়িতে বেড়াতে গেলে মো. ইউসুফ তাকে ঘরে নিয়ে যায়। পরে মুখ চেপে ধরে মেয়েকে ধর্ষণ করে। এরপর মো. ইউসুফ মিয়া এ ঘটনা কাউকে বলার জন্য মানা করে।
ছাত্রীটিকে ভয়ও দেখায়, ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য। ছাত্রীটি কান্না করতে করতে খালার বাসায় যায়। কান্নার বিষয়টি খালা জানতে চাইলে, সব ঘটনা খুলে বলে। রাতে পারিবারিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ছাত্রীকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি জানতে চাইলে ছাত্রী বলেন, জোর করে ইউসুফের ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে আমার ক্ষতি করেছে। আমি ইউসুফের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, আমি ঢাকায় চাকরি করি। ঘটনার দিন আমি ঢাকাই ছিলাম। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে টাঙ্গাইল এসেছি। আমি ওই ইউসুফের ফাঁসি দাবি করছি।
ওই ছাত্রীর খালা বলেন, ওর মা মারা গিয়েছে কয়েক বছর আগে। তারপর থেকে আমার বাসায় মাঝে মাঝে আসতো। গত বুধবার আমার প্রতিবেশি মো. ইউসুফ মিয়া এতো বড় ধরনের ক্ষতি করবে আমি কখনও কল্পনাও করি নাই। হাসপাতাল থেকে কাগজপত্র তুলে ওই ইউসুফের বিরুদ্ধে মামলা করবো।
৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শরিফ উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি শোনার পর রাতেই পারিবারিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করেছি। না পেরে বৃহস্পতিবার সকালে ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছি।
গহালিয়া বাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান হযরত তালুকদার বলেন, আমি এ ঘটনা শুনেছি। তবে ওই ছেলের নামে এ ধরনের অভিযোগ আরো আছে। আমি এর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো
Post Views:
96
আপনার মতামত লিখুন :