শিশুবার্তা ডেস্কঃ
নওগাঁর সাপাহার উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা প্রত্যন্ত অঞ্চল পাতাড়ী ইউনিয়নের ড্রেনপাড়া গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া মোর্সেদা নামের এক স্কুল ছাত্রী ১০৯ নাম্বারে কল দিয়ে নিজের বিয়ে নিজেই বন্ধ করে এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কল্যাণ চৌধুরী’র নির্দেশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সবুর আলী স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয় এবং পরিবার সহ গ্রামবাসীকে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে অবগত করেন।
জানা গেছে, পাতাড়ী ড্রেনপাড়া গ্রামের মোকলেছুর রহমান ও মা ফেরদৌসী বেগমের মেয়ে মোর্শেদা খাতুন (১৩) সে পাতাড়ী ফাজিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। তার বাবা-মা পাশের গ্রামের এক ছেলের সাথে মেয়ের বিয়ে দেয়ার সকল প্রতি সম্পন্ন করে ১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দিন তারিখ ঠিক করেছিলেন। বাড়ীতে বিয়ের সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ন হতে দেখে শিক্ষার্থী মোর্সদা নিজ ঘরে নিজের বিয়ে বন্ধের জন্য ১০৯ নম্বারে কল দেয়ার চেষ্টা করতে থাকে। ঠিক এ সময়ে তার মা ফেরদৌসী বেগম মেয়ের কল করে বিয়ে বন্ধ করার কৌশল বুঝতে পেরে মেয়ের হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে শারীরীক নির্যাতন চালাতে শুরু করে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে সে ১০৯ নম্বর কোথায় পেল জানার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকলে শিক্ষার্থী মোর্সদা নাম্বারটি তার গ্রামের শিশু বিকাশ কেন্দ্রের ম্যানেজার শারমীন আক্তারের নাম বলে দেয়। এর পর ওই মেয়ের বাবা মা লোক কেন্দ্রের ম্যানেজারের প্রতি চড়াও হয়ে তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। পরে প্রশাসন সহ বিভিন্ন দপ্তরের ভয়ে আপাতত মেয়ের বিয়ে বন্ধ করে দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কল্যাণ চৌধুরী’র সাথে কথা হলে তিনি জানান, স্কুল ছাত্রীর সাহসিকতায় এ বিয়ে বন্ধ হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্কুল ছাত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
তথ্যসূত্রঃ রেডিও বগুড়া
আপনার মতামত লিখুন :