নিজের বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে দুর্বৃত্তদের কাছ থেকে সুকৌশলে পালিয়ে গিয়ে অক্ষত অবস্থায় বেচে ফিরলেন স্কুল পড়ুয়া নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ওয়াসিক ফারহান তাজিম।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়,গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে স্কুল থেকে ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা মাইক্রোতে তুলে নেয় দুর্বৃত্তরা।তাদের সবারই মুখে মাস্ক পরা ছিল।চোখ বেঁধে তাজিমকে নিয়ে যায় একটি পরিত্যক্ত ঘরে। সেখানে একটি চেয়ারে বসিয়ে তার হাত ও কোমর বেঁধে ফেলে। পরে খুলে দেয় চোখ। এরপর চারজনের মধ্যে দুজন বাইরে চলে যায়। অন্য দুজন দরজার পাশে অবস্থান নেয়।
শিশুটির পাশেই একটি টেবিলে ছিল কয়েকটি ছুরি ও লাঠি। ছেলেটি মুখ দিয়ে সুকৌশলে ছুরি এনে বাঁধন কেটে ফেলে। পরে তৎক্ষনাৎ লাঠি দিয়ে আঘাত করে এবং কিল ঘুষি মেরে দুজনকে পরাস্ত করে দৌড়ে শিশুটি পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়।
গাড়িতে চোখ বাঁধার সময় দুর্বৃত্তরা একজন অপরজনকে বলতেছিল, এটাই তাদের শেষ অপারেশন। তাকে চালান করে দিয়ে আজই তারা গ্রামে চলে যাবে। মাইক্রোতে তোলার পর শিশুটি বলেছিল- আমি গরিব ঘরের সন্তান।আমার বাবার টাকা নেই। তারপর একজন বলল চুপ কর। আমরা কি টাকা চেয়েছি? শ্বাসরুদ্ধকর প্রায় ২০ মিনিটের মধ্যে ওদের সাথে আর কোন কথা হয়নি।
এ বিষয়ে শিশুটির বাবা যাত্রাবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
শিশুটির বাবা আজকের পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিক হুমায়ুন কবির তমাল বলেন, এভাবে স্কুলের ইউনিফর্ম পড়া একটি শিশুকে ছুঁ মেরে নিয়ে যেতে পারে তা কল্পনাতীত। মহান আল্লাহ তাকে বুদ্ধি ও সাহস না দিলে সে হয়তো ফিরে আসতো না। শুকরিয়া আদায় করছি আল্লাহর কাছে। ছেলেটি এখনো স্বাভাবিক ভাবে কথা বলতে পারছে না। ঘটনা তদন্ত করে অপহরণে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘটনাটির তদন্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (এস আই) আব্দুর রাহিম বলেন, অভিযোগ পেয়েই আমি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কয়েকটি সিসি ক্যামেরা চেক করছি। অপরাধীদের খুঁজে বের করতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
এব্যাপারে যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজুল আলম বলেন, ঘটনা শুনেছি। এব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি।
আপনার মতামত লিখুন :