ভেজাল ঔষধে শিশুর মৃত্যু : ভারতীয় কফ সিরাপের ওপর‘নিষেধাজ্ঞা’!


গ্লোবাল ক্যনভাস প্রতিবেদক: প্রকাশের সময় : ০৯/০৮/২০২৩, ১:১৮ AM
ভেজাল ঔষধে শিশুর মৃত্যু : ভারতীয় কফ সিরাপের ওপর‘নিষেধাজ্ঞা’!

ভেজাল” কফ সিরাপ সম্পর্কে আবারও বৈশ্বিক সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)। এবার ইরাকে রপ্তানি করা ভারতের এক কোম্পানির তৈরি কফ সিরাপে মাত্রাতিরিক্ত টক্সিন পাওয়ায় এই সতর্কতা জারি করা হয়। গত ১০ মাসে ভারতীয় কফ সিরাপের ওপর এটি ডাব্লিউএইচও’র পঞ্চম “নিষেধাজ্ঞা”।

২০২২ সালে গাম্বিয়া এবং উজবেকিস্তানে অন্তত ৮৯ জন শিশুর মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয় ভারতের মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি কফ সিরাপকে। এরপরের কিছু কোম্পানির জন্যে ওষুধের বাজারে দুর্নাম কাটেনি।“রিমান ল্যাবস” নামের আরেকটি ভারতীয় কোম্পানির নাম জড়ায় ক্যামেরুনের শিশু-মৃত্যুর ঘটনায়। ক্যামেরুন সরকারের অভিযোগ এবং ডাব্লিউএইচওর সতর্কবার্তার জেরে কফ সিরাপটি পরীক্ষা করে দেখে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। সিরাপে সত্যি সত্যি অতিরিক্ত টক্সিন পেয়ে কফ সিরাপ রপ্তানির আগে যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এরপরেও গত মার্চে উজবেকিস্তানে একই অভিযোগে ১৮ জন শিশুর মৃত্যুর জন্য “মারিয়ন বায়োটেক” কোম্পানির কফ সিরাপকে দায়ী করায় লাইসেন্স বাতিল করা হয়। কোম্পানির সাথে জড়িত কিছু কর্মীকে জেলে পাঠানো হয়।

তা সত্ত্বেও থামানো যায়নি ডাব্লিউএইচওর পঞ্চম সতর্কবার্তা। সেবন করলেই “মারাত্মকভাবে আহত হওয়া ও মৃত্যুর ঝুঁকি” রয়েছে বলে জানিয়ে ভারতে তৈরি কফ সিরাপের বিষয়ে তাই আবার সতর্ক করেছে জাতিসংঘের ডাব্লিউএইচওর স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা। গত সোমবারের এই সতর্কতা “কোল্ড আউট” নামের একটি কফ সিরাপের কারণে।

ডাব্লিউএইচও জানিয়েছে, ইরাকে রপ্তানি করা এই ঔষধে ০.২৫% ডায়েথিলিন এবং ২.১% ইথাইলিন পাওয়া গেছে। এ দুটি উপাদান সর্বোচ্চ ০.১০ % থাকলে তা সহনীয় মাত্রায় আছে বলে ধরে নেওয়া হয়। দুটি উপাদানই অনেক বেশি থাকায় “কোল্ড আউট” সেবনে তলপেটে ব্যথা, বমি, ডায়রিয়া, প্রস্রাবে অসুবিধা, মাথা ব্যথা ও মানসিক অবস্থার পরিবর্তন। এমনকি কিডনির বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে এবং এ কারণে মৃত্যুও হতে পারে বলে জানায় ডাব্লিউএইচও। এই ঔষধ সেবনের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, ইরাকের পরীক্ষাগারে ভেজাল ধরা পড়ার পর বাজার থেকে সব ঔষধ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

গত মাসে ড্যাবিলাইফ ফার্মার ভাইস প্রেসিডেন্ট বালা সুরেন্দ্রন ব্লুমবার্গকে জানান, সাব কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে কোল্ড আউট তৈরির দায়িত্ব এখন নতুন একটি কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে। নতুনভাবে পরীক্ষা করে দেখা গেছে “কোল্ড আউট”-এ কোনো উপাদানই প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেই।

গ্লোবাল ক্যনভাস/এমএএন/ডিএমএস