নিজস্ব প্রতিবেদক:
সোমবার (৩১ আগস্ট) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ইউনিসেফ জানিয়েছে, চিকিৎসা কেন্দ্রটি ইউনিসেফের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পরিচালনা করবে আইসিডিডিআর,বি। এর আর্থিক সহযোগিতায় থাকবে অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, সুইডেন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সরকার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বিশ্বব্যাংকে
অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি কোভিড-১৯ এর সঙ্গে সম্পর্কিত সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ, আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং উপাত্ত ব্যবস্থাপনা-সম্পর্কিত বিষয়গুলো জোরদারে সহায়তা করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছে ইউনিসেফ। এ ছাড়াও ইউনিসেফ জাতীয় পর্যায়ে এবং একইসঙ্গে কক্সবাজারে বসবাসরতদের মাঝে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ এবং আক্রান্তদের চিকিৎসায় সহায়তা দিতে গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সরঞ্জাম ও সামগ্রী ক্রয় করছে।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি তোমু হোজুমি এ বিষয়ে বলেন, “বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা এখনও বেড়েই চলেছে। জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে নজিরবিহীন এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে ইউনিসেফ নিবিড়ভাবে বাংলাদেশ সরকার এবং উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে।”
আইসিডিডিআর,বি’র নির্বাহী পরিচালক ড. জন ডেভিড ক্লেমেন্স বলেন, “এই ব্যতিক্রমী সময়ে গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে ইউনিসেফের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে পেরে আমরা গর্বিত। এই সংকট মোকাবিলায় আমাদের যেসব কর্মী অগ্রভাগে রয়েছে তাদের প্রচেষ্টাকে আমরা সাধুবাদ জানাই।”
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, “জীবন বাঁচাতে ইউনিসেফ এবং আইসিডিডিআর,বি’র সঙ্গে হাতে হাত রেখে একসঙ্গে কাজ করছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। কোভিড-১৯ আইসোলেশন ও চিকিৎসা কেন্দ্রটি এক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ।”
কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, “জনসংখ্যার ঘনত্ব খুব বেশি হওয়ার কারণে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির কোভিড-১৯ মহামারির জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে। এই কেন্দ্র বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা– উভয় জনগোষ্ঠীকে গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রদান করবে।”
চিকিৎসা কেন্দ্রটি টেকনাফ উপজেলায় বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা– উভয় জনগোষ্ঠীতে কোভিড-১৯ শনাক্ত ও গুরুতর অসুস্থ রোগীদের অক্সিজেন থেরাপিসহ চিকিৎসা সেবা প্রদান করবে। এটি প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকবে এবং চিকিৎসক, নার্স, রোগীর পরিচর্যাকারী, ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান, ফার্মাসিস্ট ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ অগ্রভাগে থাকা তিনশ’রও বেশি উচ্চ প্রশিক্ষিত ও নিবেদিত কর্মী দ্বারা পরিচালিত হবে। যেসব গুরুতর রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য যান্ত্রিক ভেন্টিলেশনের প্রয়োজন হবে, তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর জেলা হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হবে। বর্জ্য সামগ্রীর নিরাপদ নিষ্পত্তির জন্য একটি ইনসিনিটার বা বর্জ্য পোড়ানোর চুল্লি স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়াও কোভিড-১৯ রোগের বিস্তার রোধে এই কেন্দ্রের সচেতনতা কর্মসূচি থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :