প্রতি বছর সরকারি ও বেসরকারি এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো।
কিন্তু সরকার এ বছর ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমের শিক্ষার্থী ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এই পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এই বছর সরকারি ও বেসরকারি এমপিওভুক্ত বিভিন্ন স্কুলে ভর্তি হয়। এতে করে ভর্তি পরীক্ষার প্রতিযোগিতা থেকে মুক্ত হয় শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তি করাকে কেন্দ্র করে ঘটা অনেক অনিয়মও দূর হয়।
তবুও আমার মনে হয়, এই পদ্ধতিটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সমস্যা তৈরি করেছে।
অনেক শিক্ষার্থী নিজের পছন্দের স্কুলে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। ভালো স্কুলে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাদের বঞ্চিত হতে হয়েছে। ফলে হতাশ হয়ে এসব শিক্ষার্থীরা হয়ত এমন কোনো স্কুলে ভর্তি হয়, যে স্কুলের পড়ালেখার মান খুব ভালো না। ভালো স্কুলে পড়ার সুযোগ না পেয়ে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারেও পড়তে হচ্ছে তাদের।
আমি শুনেছি, অনেক মানহীন স্কুল এখনো নতুন কারিকুলামে ঠিক মতো শিক্ষা প্রদান করতে পারছে না। তাছাড়া ব্যবহারিক বা হাতে-কলমে শেখার সুযোগও কম এসব প্রতিষ্ঠানে।
ফলে অনেক ভালো শিক্ষার্থীরাও ভালো স্কুলে ভর্তি হতে না পেরে পিছিয়ে পড়ছে।
এই পদ্ধতির মাঝে কোনো পরিবর্তন আনা যায় কিনা, যাতে শিক্ষার্থীরা পছন্দের স্কুলে অন্তত ভর্তির সুযোগ পায়- এই বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলকে ভাবার অনুরোধ করছি।
আপনার মতামত লিখুন :