মোঃ আরিফুল ইসলাম (হৃদয়)
সভাপতি, ইচ্ছা মানব উন্নয়ন সংস্থা
কোভিট-১৯ বা করোনা নামের ভাইরাস যা সারা বিশ্বের এক মহামারির রুপ নিয়েছে। আস্তে আস্তে এই ভাইরাসটি বিশ্বের ২০০ অধিক বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাস মোকাবেলায় সারা বিশ্ব লকডাউনে আছে আর তাতেই বিশ্ব অর্থনীতি আজ হুমকির মুখে থুবড়ে পড়ছে। এই ভাইরাসে সারা বিশ্বে ২ লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৩০ লক্ষের উপরে মানুষ আক্রান্ত হয়েছে যা খুবই দুঃখজনক। বিশ্বের সব দেশেই চলছে লকডাউন কিন্তু সেই দেশের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার চেয়ে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কারী বাহিনীর ভূমিকা অপরিসীম। এই ভাইরাস থেকে মানুষকে বাঁচাতে মানুষের ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে সারা দেশব্যাপী সশস্ত্র বাহিনী, র্যাব ও পুলিশ বাহিনী কে মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত রাখছেন সরকার এবং ডাক্তার, নার্স সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে । এই মহামারি থেকে রক্ষা পেতে বেশি বেশি সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, জন সমাগম এড়িয়ে চলা, মাক্স ব্যবহার করা, হাঁচি কাশি দেওয়ার সময় রুমাল ব্যবহার করা সহ বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করার প্রতি জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ভাইরাস মোকাবেলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশও নিয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। এই মহমারির কারণে নিম্ন দিন মজুরীর মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। আর এই নিম্ন আয়ের ও মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে স্ব শরীরের মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে, যা একটি মাইল ফলক এবং ভূয়সী প্রশংসার দাবিদার। বাংলাদেশ সরকারের আইনপ্রয়োগ কারী সংস্থাগুলোও যে ভাবে এগিয়ে আসছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
আর সরকারী ত্রাণের পাশাপাশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো তাদের আক্লান্ত পরিশ্রমের সাথে নিজেরাই অর্থসংস্থান করে ত্রান বিতরণের মত মহতি কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। নিজের প্রাণের ঝুকি নিয়ে তারা রক্তদানের মত মহৎ কাজগুলো সম্পাদন করছেন। একদিন এই পৃথিবী পুনরায় সুস্থ হয়ে যাবে, আর ইতিহাসের পাতায় সোনালী শব্দে লেখা থাকবে করোনা যুদ্ধের স্বেচ্ছাসেবীরুপে এই মহারতীদের নাম।
আপনার মতামত লিখুন :