শিশুর বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই


Admin প্রকাশের সময় : ১৮/০৬/২০২২, ১২:৪৪ AM
শিশুর বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই

মো: রাকিব হাসান হৃদয়,সুনামগঞ্জ:

কিছুুদিন পূর্বে শিশুদের শৈশবের শুরুটা হতো পাড়ার সঙ্গীদের সাথে। শিশু গড়ে উঠত আশেপাশের সামাজিক পরিবেশের সাথে। এতে শিশু সহজেই শিখতে পারত সামাজিকতা ও সামাজিক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে নিজেকে পরিচালিত করা। বিকেল হলেই যেন প্রতি মহল্লা মেতে উঠত হৈ-হুল্লোড়ে। কিন্তু বর্তমানে সময়ে হারিয়ে গেছে সেই আনন্দময় শৈশব। সেইসাথে বিলুপ্ত প্রায় খেলাধুলা গুলোও।

প্রযুক্তি নির্ভর যুগে প্রযুক্তি নির্ভর শিশুরা খেলাধুলা বিমুখ হয়ে ডিজিটাল খেলাধুলায় নিমজ্জিত হচ্ছে।  যা শারীরিক সুস্থতার জন্য কার্যকরী নয়। 

বাসায় বসে মোবাইল, ট্যাব, কম্পিউটারে গেমস খেলায় কোনো শারীরিক উন্নতি হয়না, বরং মানসিক জটিলতাসহ শরীরের নানা নেতিবাচক সমস্যা দেখা দেয়।

পড়ালেখা কিংবা কাজের চাপে খেলার সুযোগ পায়না বর্তমান সময়ের শিশুরা। যতটুকু অবসর সময় পায়, তা সবাই আলস্যে মোবাইল ব্যবহারের মধ্যে কাটাতে পছন্দ করে। তাদের খুব কম সংখ্যকই খেলাধুলার পাশাপাশি বই পড়তে বা সৃজনশীল কাজ করতে পছন্দ করে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের খেলাধুলা করা বাধ্যতামূলক। খেলাধুলার ভেতরে যে আনন্দ থাকে তা শিশুমনের পরিপূর্ণ বিকাশে সহায়ক। খেলার জন্য বড় মাঠের প্রয়োজন নেই। বাসার সামনে অল্প জায়গা হলেও খেলা যায় বা কিছু শারীরিক কার্যক্রম যেমন- হাঁটাহাঁটি, দৌড়াদৌড়ি, দড়িলাফ দেওয়া যায়। এসকল শরীরের ক্লান্তি, একঘেয়েমি, বিষণ্ণতা, মানসিক চাপ দূরে সরিয়ে মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে।

শিশুদের যে কারণে খেলাধুলা প্রয়োজন:


১. খেলাধুলায় উপস্থিত বুদ্ধি বৃদ্ধি পায়।
২. শারীরিক বৃদ্ধি স্বাভাবিক রাখতে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৩. পরিকল্পনা, দূরদর্শিতা ও পড়াশোনার প্রতি শিশুর আগ্রহ জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করে। 

৪. কয়েকজন মিলে একসাথে খেলার ফলে শিশু সামাজিকতা ও পরপোকারিতা শিখতে পারে। 
৫. সৃজনশীলতা ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

শারীরিক কার্যক্রম শুধু শিশুদের জন্য নয়, শিশু থেকে শুরু করে পূর্ণবয়স্ক মানুষের শারীরিক সুস্থতার জন্যেও নিত্যদিন ব্যায়াম করা প্রয়োজন। তাই কাজের পাশাপাশি নিজেকে দিলে শরীর ভাল থাকে এবং কাজও ভাল হবে। পড়ালেখার পাশাপাশি অভিভাবকসহ সকলের উচিৎ বিকেলে কিছুটা সময় হাতে নিয়ে আশেপাশে ঘুরতে, খেলতে বা হালকা কিছু শারীরিক ব্যায়াম-হাঁটাহাঁটি, প্রতিবেশীদের সাথে গল্প করতে বেরিয়ে পরা। এতে স্বাস্থ্য ও মন উভয়ই প্রফুল্ল থাকবে।