অজোপাড়া গায়ের আলোর দিশারী শিক্ষা জননী মালেকা বেগম


Admin প্রকাশের সময় : ০১/০১/২০২০, ১২:০৬ PM
অজোপাড়া গায়ের আলোর দিশারী শিক্ষা জননী মালেকা বেগম


শিশু বার্তা ডেস্কঃ
শিক্ষা জননী মালেকা বেগমনিম্ন আয়ের ঘরের মেয়েঅতপর বাল্যকালেই বাবা মারা যাওয়ায় নিম্ন আয়ের সংসারে বিয়ে হয়ে নানা প্রতিকুলতার মাঝেও সামাজিক উন্নয়নে তার অবদান অনস্বীকার্য। পারিবারিক সাহায্য সহযোগিতা পেলে একজন নারী যে তার  গুনের প্রকাশ ঘটাতে পারে তার উজ্জ্বল উদাহরণ মালেকা বেগম।তার স্বামী আব্দুল কাদের ও ছেলে আবুল হোসেনের সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণায় ডেফলবাড়ি জ্ঞানের আলো শিক্ষালয়ের মাধ্যমে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেয়াই তার প্রমান।
প্রায় ৩৬ বছর ধরে খোলা আকাশের নিচেই সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার ডেফলবাড়ি সহ এলাকার শিশু ও বয়স্কদের  বিনামূল্য কুরআন ও হাদিস শিক্ষা দিয়ে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত গড়েছেন এই অজোপাড়া গায়ের শিক্ষাজননী মালেকা বেগম। প্রথম দিকে শিশুদের কাছ থেকে কিছু মুষ্টির চাউল নিয়ে গ্রামের সামাজিক কাজে ব্যয় করলেও দরিদ্র শিশুদের কাছ থেকে চাউল না নেয়ার পরামর্শ দেন তার ছেলে আবুল হোসেন। মালেকার বিনা পিয়সায় শিক্ষাদানের পিছনে গ্রামের মানুষের তেমন কোনো সহযোগিতা নেই। এছাড়া সামাজিক বা সরকারিভাবেও কোনো সহযোগিতাও ছিল না তার । তার ছেলে আবুল হোসেন ও স্বামী আব্দুল কাদেরের সার্বিক সহযোগিতায় ডেফলবাড়ী জ্ঞানের আলো শিক্ষালয় চালিয়ে যাচ্ছেন তিনিপারিবারিক আর্থিক সংকট ও সামাজিক নানা প্রতিকুলতা থাকা সত্ত্বেও কখনো মনোবল হারায়নি সে গত ২০১০ সালে তার  ছেলে আবুল হোসেন এই কার্যক্রমের নাম করন করেন ডেফলবাড়ী জ্ঞানের আলো শিক্ষালয় এই কার্যক্রম আরো ভালোভাবে চালিয়ে নিতে উৎসাহ দিয়ে মায়ের পাশে থেকেছেন তিনি
দারিদ্র পরিবারের গৃহবধু হয়েও তিনি তার প্রতিভা কাজে লাগিয়ে যেভাবে শিক্ষার আলো ছড়ানোর মাধ্যমে সমাজে অসামান্য অবদান রেখেছেন তা দেখে সামাজিক কর্মকান্ডে অন্যরাও এগিয়ে আসতে উৎসাহিত হবে। সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় ডেফলবাড়ি জ্ঞানের আলো শিক্ষালয়ের পরিচালক মোছাঃ মালেকা বেগমকে উল্লাপাড়া উপজেলায় সেরা জয়িতা নির্বাচিত করেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতাধীন জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ। বর্তমানে তার আর্থিক অবস্থা কিছুটা ভালো।সে দারিদ্র পরিবারের গৃহবধু হয়েও তার যা প্রতিভা আছে তাই যথাযথ ভাবে কাজে লাগিয়েছে যা অনেক সচ্ছল পরিবারের গৃহবধুর পক্ষেও করা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশের গ্রামীন সমাজ ব্যবস্থায় প্রচন্ড প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও মালেকা বেগম একটি অজোপাড়া গায়ে জ্ঞানের আলো শিক্ষালয়ের মাধ্যমে দীর্ঘ দিন যাবত বিনামূল্যে যে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছেন তা সমাজে অসামান্য অবদান রেখেছেন যা তাকে অজোপাড়া গায়ের শিক্ষা জননী উপাধিতে ভুষিত করেছে।মালেকা বেগমের স্বপ্ন তার এই প্রতিষ্ঠানটি একদিন সারা বিশ্বের মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে বলে আজীবন যেন এভাবেই বিনামূল্যে শিক্ষার আলো ছড়াতে পারেন এমনটাই চাওয়া তার