জন্মনিবন্ধন শিশুর অধিকার


Admin প্রকাশের সময় : ২১/১১/২০১৯, ৯:৪৩ AM
জন্মনিবন্ধন শিশুর অধিকার

তানজিম আশরাফ রাতুল,শিশুবার্তা প্রতিনিধি,ময়মনসিংহঃ
জন্মের পর সরকারি খাতায় প্রথম নাম লেখানোই জন্ম নিবন্ধন। একটি শিশুর জন্ম নিজ দেশকে, বিশ্বকে আইনগতভাবে জানান দেয়ার একমাত্র পথ জন্মের পর জন্মনিবন্ধন করা। 
নবজাতকের একটি নাম ও একটি জাতীয়তা নিশ্চিত করতে এটি হচ্ছে প্রথম আইনগত ধাপ। জন্ম নিবন্ধন প্রতিটি শিশুসহ বয়স্কদেরও একটি অধিকার। এটি নাগরিক অধিকারের পর্যায়ে পড়ে। 

পৃথিবীতে একটি শিশু জন্মানোর পর রাষ্ট্র থেকে প্রথম যে স্বীকৃতি সে পায় সেটি হলো জন্ম নিবন্ধন। দেশের অন্যান্য নাগরিকের সাথে সে সমান অধিকারে এক কাতারে সামিল হয় এই জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে। প্রথম জন্ম নিবন্ধনের অধিকার জাতিসংঘের শিশু সনদে (ইংরেজি: Convention on the Rights of the Child – CRC) স্পষ্ট উল্লেখ আছে। 

জন্ম নিবন্ধনের মধ্যদিয়ে একটি শিশু একটি নাম লাভ করে যা সারাজীবন তাকে একটি পরিচিতি দেয়। জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে একটি শিশু প্রথম নাগরিকত্বও লাভ করে।
জন্মসনদ অত্যাবশ্যকীয় করার জন্য সরকার বর্তমানে স্বল্প খরচে এবং বিনামুল্যে উপজেলা পরিষদ,সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে কাজ শুরু করেছে।
জাতীয় পরিচয় পত্র একজন ব্যাক্তিকে দেশের পুর্নাঙ্গ নাগরিক হিসেবে মর্যাদা দিলেও একটি শিশু (১৮ বছরের পূর্বে) জন্ম সনদ দাড়াই দেশের প্রাথমিক নাগরিকতা পায়। যার মানে দাড়ায়, জন্মসনদ পাওয়া প্রত্যেকটি শিশুর অধিকার।
এ লক্ষ্যে সরকার নতুন করে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন আইন ২০০৪ প্রণয়ন করে। জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, শিশু অধিকার সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে আইনটি ৩ জুলাই ২০০৬ থেকে কার্যকর করা হয়েছে। জন্ম নিবন্ধন আইনে বলা হয়েছে, বয়স, জাতি-গোষ্ঠি, ধর্ম-কিংবা জাতীয়তা সকল নির্বিশেষে বাংলাদেশে জন্ম গ্রহণকারী প্রত্যেকটি মানুষের জন্য জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। আশা করা যাচ্ছে,কয়েক বছরের মাঝেই সকল শিশুকেই নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসা যাবে।