টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে যাত্রীবাহী বাস ও অটোরিকশার সংঘর্ষে সপ্তম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীসহ চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুই শিক্ষার্থী।
রোববার(৩০এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইল-জামালপুর মহসড়কের ধনবাড়ী উপজেলার ধোপাখালি ইউনিয়নের বাঘীল বাজার এলাকায়এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- ধনবাড়ী উপজেলার ভাইঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ও বাঘিল গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে রুশনী আক্তার(১৩), রুশনীর সহপাঠী একই গ্রামের হাসেন আলীর মেয়ে সাদিয়া আক্তার (১৩), একই উপজেলার নরিল্যা গ্রামের মৃত নিয়ত আলীর ছেলে ভ্যান চালক আব্দুল হাকিম(৬০) এবং গোপালপুর উপজেলার হাদিরা গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে অটোরিকশা চালক গোলাম মোস্তফা(৫৫)।
এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় ধনবাড়ী উপজেলার বাঘীল গ্রামের জয়নালের মেয়ে যুথি আক্তার (১৩) ও আসর আলীর মেয়ে আফসানা আক্তার (১৩)কে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,ধনবাড়ী থেকে টিএস পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে বাসটি ধনবাড়ী উপজেলার বাঘীল বাজার এলাকায় পৌছালে নিয়ন্ত্রন হারায়। এ সময় বাসটি দুধবাহী একটি ভ্যানকে চাপা দিয়ে বিপরীতমুখী অটোরিক্সার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ভ্যান চালক আব্দুল হাকিম, অটোচালক গোলাম মোস্তফা ও রুশনী আক্তার নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত ৩ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাদিয়া আক্তার মারা যায়।
এ বিষয়ে নিহত সাদিয়ার মামা আয়নাল হক বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাদিয়া আক্তার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। আহত অপর দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে যুথির অবস্থা আশংকাজনক।
ভাইঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোজাম্মেল হোসেন জানান, এসএসসি পরীক্ষা থাকায় বেলা দুইটা থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাস দেওয়া হয়েছে। বাঘীল থেকে অটোরিকশায় ওই নিহত ছাত্রীরা ভাইঘাটের দিকে যাচ্ছিল। দুর্ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা একঘণ্টা টাঙ্গাইল-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ধনবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) এএইচএম জসিম উদ্দিন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক বাসটি আটক করলেও চালক ও সহকারী পলাতক রয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে নিহতদের লাশ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :