-মোঃ মাহিন সরকার,,, ইসলাম নগর, ঠাকুরগাঁও
খুব সুন্দর ছিল ওদের দুনিয়াটা
বুকে ছিল হাজারো স্বপ্ন,হাজারো ভালোবাসা।
সব স্বপ্নগুলো হাটছিল সত্যি হবার পথে।
অনেক দুরেও এগিয়েছিল।
সবই তো ঠিকই ছিল।
কিন্তু হঠাৎ কোত্থেকে যেন এক ভয়ানক উত্তপ্ত আগুন এসে ছড়িয়ে গেল দিগ্বিদিক।
ভয়ে শিহরিত হয়ে ঘরের এক কোন থেকে আরেক কোনে ছুটতে থাকে তারা।
স্ত্রী বলে,’তুমি যাও এখান থেকে
এ আগুন থেকে বাঁচতে তোমাকে পালাতে হবে।’
কিন্তু স্বামী রাজি হয়নি।
স্বামী বলেছে,’আমি যেতে পারবোনা
তোমাক ও তোমার গর্ভে থাকা আমার সন্তানকে ছেরে।
মরলে না হয় একসাথেই মরবো।’
সত্যি তারা কেউ পালিয়ে যেতে পারেনি
একজন আরেকজনকে রেখে।
উত্তপ্ত আগুনের ঝলকানিও পারেনি
তাদের হাটটা ছোটাতে,তাদের আলাদা করতে।
তারা না পালানোর ফলে
একসময় তাদের গায়ে এসে পড়ে সে ভয়ানক আগুন।
দুজনের দেহ পুরে যায়।
গর্ভের সন্তানসজ অঙ্গার জয়ে যায় এ দম্পতি।
কাদের তো পণ ছিল কোনোদিন একজন আরেকজনকে ছেরে না দেওয়া
সত্যি তো তাই হলো।
মৃত্যুর দিনও তো কেউ কাউকে ছারতে পারেনি।
মৃত্যুও বরন করেছে একসাথে।
সেই মণ্যির আগুন বাঁচতে দিলোনা ওদের।
এমনকি যে দুদিন ডর এ পৃথিবীতে আসতো
সে পথটিও চিরতরে বন্ধে করে দিল এ আগুন।
শত স্বপ্নের গলাচেপে মৃত্যুর দুয়ারে পোঁছিয়ে দিল।
কিন্তু সত্যিকার অর্থে আজ বিজয়ী হলো কে?
এ আগুন তো তবু বিজয়ী হতে পারেনি।
বিজয়ী তো হলো পবিত্র ভালোবাসা।
যে ভালোবাসা ভয়ানক উত্তপ্ত আগুনকে পরোয়া না করে
একজন আরেকজনকে হাতটা ছারতে দেয়নি।
আজ বড়ই উচ্চস্বরে উল্লাস করে বলতে ইচ্ছে করছে,
‘হেরে গেল চকবাজারের সেই ভয়ানক উত্তপ্ত আগুন,
জিতে গেল পবিত্র ভালোবাসা।
আপনার মতামত লিখুন :