ছিন্নমূল শিশুরাই দেশ বিনির্মানে ভূমিকা রাখবে: পুলিশ সুপার টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেছেন, ছিন্নমূল শিশুরাই আগামীর দেশ বিনির্মানে ভূমিকা রাখবে। তাদেরকে যদি সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলা যায় তাহলে তারা সমাজের বোঝা না হয়ে সম্পদে পরিণত হবে। তারা সমাজেরই একটি অংশ, তাদের ব্যতিরেখে সমাজের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

টাঙ্গাইল পুলিশ লাইন্স মাঠে ১৮ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অবৈতনিক ফ্রেন্ডশিপ স্কুল আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৩ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংবাদমাধ্যম সিএনআই এর প্রধান নির্বাহী ও স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা জুয়েল আহমেদ।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার তার বক্তব্যে বলেন, সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্বপ্ন পূরণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে ফ্রেন্ডশিপ স্কুল। দেশ ও সমাজের উন্নয়নের জন্য এই স্কুল যে ভূমিকা রাখছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমি এই স্কুলের উন্নয়নকল্পে আমার সাধ্য অনুযায়ী কাজ করে যাবো।

তিনি আরো বলেন, সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে এই স্কুলের কার্যক্রম টাঙ্গাইলসহ সারাদেশে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। তবে এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। এত ভালো একটি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। আসলে ফ্রেন্ডশিপ স্কুল সমাজে ভালো কাজের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

তিনি বলেন, আমি প্রত্যক্ষভাবে এই স্কুলের কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি। এই স্কুলের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

সিএনআই এর টাঙ্গাইল প্রতিনিধি সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী মো. রাশেদ খান মেনন (রাসেল) এর সঞ্চালনায় শিশুদের মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে, খেলাধুলা, যেমন খুশি তেমন সাজো, অভিভাবকদের মিউজিক্যাল চেয়ার খেলাসহ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে।

উল্লেখ্য, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্বপ্নের অবৈতনিক ফ্রেন্ডশিপ স্কুলে প্রায় দুই শতাধিক শিশু শিক্ষার্থী বিনা বেতনে লেখাপড়া করার সুযোগ পাচ্ছে। প্রধান অতিথি খেলাধুলায় অংশগ্রহণকারী ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। সর্বশেষে পুলিশ সুপার তার নিজ উদ্যোগে এই স্কুলের সকল শিক্ষার্থীর মাঝে বিনামূল্যে স্কুল ইউনিফর্ম উপহার প্রদান করেন।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকতাবৃন্দ, শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, ক্ষুদে শিক্ষার্থীবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।