পানিতে ডুবে মারা গেলো কনটেইনারে মালয়েশিয়া যাওয়া সেই শিশু ফাহিম


নিজস্ব সংবাদদাতা প্রকাশের সময় : ২৯/০৪/২০২৩, ১১:০০ PM
পানিতে ডুবে মারা গেলো কনটেইনারে মালয়েশিয়া যাওয়া সেই শিশু ফাহিম

চট্টগ্রাম থেকে কনটেইনারে করে মালয়েশিয়া চলে যাওয়া কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের সেই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ১৪ বছর বয়সী রাতুল ইসলাম ফাহিম মারা গেছে। শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে ডুবে ওই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত শিশু ফাহিম কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়নের সাতপুকুরিয়া গ্রামের দিনমজুর ফারুক মিয়ার ছেলে।পেশায় দিনমজুর ফারুকের তিন ছেলের মধ্যে রাতুল সবার বড়।

শনিবার সন্ধ্যায় মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিউল আলম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ছেলেটি একা একা পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা গেছে। ছেলেটি সাঁতার জানত না বলে জেনেছি। আমরা বিষয়টি ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।’

রাতুলের বাবা ফারুক মিয়া বলেন, ‘আমার ছেলেটা ছোটবেলা থেকেই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। আমরা সবাই ধানের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। দুপুরে রাতুল একা একা গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা গেল। আমি এখন কিভাবে বাঁচব?’

বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান হিরণ জানান, খবর পেয়ে তিনি রাতুলের বাড়িতে যান এবং দাফন কাফনের জন্য আর্থিক সহায়তা করেন। প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বিনা ময়নাতদন্তে নামাজে জানাজা শেষে রাতে তার লাশ দাফন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত চলতি বছরের গত ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ‘এমভি ইন্টেগ্রা’ নামের জাহাজটি মালেশিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ১৬ জানুয়ারি মালেশিয়ার কেলাং বন্দরে জাহাজের একটি খালি কনটেইনারের ভেতর থেকে মানুষের শব্দ শুনতে পান নাবিকরা। এর পরই কেলাং বন্দর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান তারা। ১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় জাহাজটি জেটিতে এনে কনটেইনার খুলে ওই কিশোরকে উদ্ধার করা হয়। অভিবাসন বিভাগের প্রক্রিয়া শেষে গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় রাতুল। পরদিন সন্ধ্যায় বাবা-মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফেরে সে।